সরকার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অর্পিত বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরও ৬০ দিন বা দুই মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বাড়ানো মেয়াদকাল শুরু হবে ১৪ মে ২০২৫ থেকে। এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন বৃহস্পতিবার (৮ মে) জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর ১২(১) এবং ১৭ ধারা অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীর নির্দিষ্ট কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এ ক্ষমতা বলবৎ থাকবে সারাদেশে এবং নির্ধারিত সময়কালে।
এই আদেশ অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার কিংবা তদূর্ধ্ব পদে নিয়োজিত কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা, যারা বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অথবা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডে প্রেষণে নিয়োজিত রয়েছেন, তারা ফৌজদারি কার্যবিধির অধীনে নির্ধারিত কিছু ধারা প্রয়োগ করে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এই ধারা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারার অধীনে আইন প্রয়োগ করতে সক্ষম হবেন। এসব ধারা মূলত জনশৃঙ্খলা রক্ষা, বেআইনি জমায়েত নিয়ন্ত্রণ, অপরাধ প্রতিরোধ, তল্লাশি, জব্দ ও শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ড দমনসংক্রান্ত বিধান নির্ধারণ করে।
এর আগে, গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয় এবং প্রথমবারের মতো গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাদের ৬০ দিনের জন্য এই বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদান করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে ১৫ নভেম্বর, ১২ জানুয়ারি এবং ১৩ মার্চ আরও তিন দফায় এই ক্ষমতার মেয়াদ দুই মাস করে বাড়ানো হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এটি হচ্ছে চতুর্থ দফার সময়সীমা বৃদ্ধি।