অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন, বিগত সরকারের আমলে ছাত্রদের দাবি উত্থাপন করলে রাষ্ট্র তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত। দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হওয়ার পর এখন সেই দাবি জানানোর সুযোগ এসেছে, তাই বর্তমান সরকার এসব বিষয়ে নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান অস্থিরতা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এটি রাতারাতি সমাধানযোগ্য নয়, তবে একটি নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তদন্ত চলছে এবং আশা করা হচ্ছে, কয়েক দিনের মধ্যেই একটি সমাধানে পৌঁছানো যাবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পূর্ববর্তী সময়গুলোতে দাবি জানালেই রাষ্ট্র দমন-পীড়নে নেমে পড়ত। এখন আগের সেই পরিস্থিতি নেই, ফলে সবাই একসঙ্গে তাড়াহুড়ো করে দাবিগুলো উত্থাপন করছে, যার কারণে বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করতে চায় যে, তাদের দাবিগুলো সংবেদনশীলভাবে বিবেচনায় নিয়ে আইনি ও নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে উপযুক্ত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
পরে তিনি ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘আগামীর শিক্ষা : প্রেক্ষিত বর্তমান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। সভার শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি প্রফেসর আলতাব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন, শিক্ষক রেজাউল মৃধা, সাংস্কৃতিক সংগঠক তৌহিদুল ইসলাম স্টালিন, তাহিয়াতুল জান্নাত রেমি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবরার নাদিম ইতু।