ঢাকা , বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করল কারিগরি ছাত্র আন্দোলন এনআইডি সংশোধনে গতি আনতে ইসির নতুন ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে বিশ্ব ব্যাংকের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল কুয়েটের রোকেয়া হলের তালা ভেঙে ঢুকলেন ছাত্রীরা, আন্দোলন চলছে অনড়ভাবে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাঘাটা উপজেলা বিএনপি নেতা সেলিম আহম্মেদ তুলিপ অব্যাহতি শাহাব উদ্দিন হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা কাফকো থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনছে সরকার গুম প্রতিরোধে অধ্যাদেশ আনছে সরকার: আইন উপদেষ্টা সাত দেশের ১৭ হাজার প্রবাসী ভোটারের আবেদন অনুমোদন

কাতারের সঙ্গে এলএনজি সরবরাহ চুক্তি নবায়ন এবং টার্মিনাল নির্মাণে অগ্রগতি

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দোহায় কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি আর্থনা সামিটের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের সঙ্গে এলএনজি সরবরাহ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশে প্রস্তাবিত স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে কারিগরি অগ্রগতি সাধনে আগ্রহ প্রকাশ করে কাতার।

 

মন্ত্রী বলেন, “আমরা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে চাই এবং তা অব্যাহত রাখব।”

 

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে কাতার গ্যাসের সঙ্গে ১৫ বছরের জন্য বছরে ১.৫-২.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানির চুক্তি করে বাংলাদেশ। এর আওতায় প্রতিবছর ৪০টি কার্গো আমদানি করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের জুনে দ্বিতীয় একটি বিক্রয় ও ক্রয় চুক্তি (এসপিএ) স্বাক্ষরিত হয়, যা ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এবং এর আওতায় অতিরিক্ত ১.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবরাহ করবে কাতার।

 

সম্প্রতি এই এসপিএ-সংক্রান্ত এমওইউয়ের মেয়াদ শেষ হওয়ায় কাতার তা নবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়।

 

জ্বালানিমন্ত্রী কাবি বলেন, “আমরা এমওইউ সই করতে প্রস্তুত।” তিনি দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করে জানান, কাতার তাদের এলএনজি উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করছে, যা ভবিষ্যতে দাম হ্রাসে সহায়ক হবে।

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ কাতারের সহায়তায় জ্বালানি সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে চায়। আমাদের জ্বালানি খাতকে পুনর্গঠনে আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন।”

 

জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, বাংলাদেশ কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ এবং পাইপলাইনের মাধ্যমে এলএনজি সরবরাহ ও আর-এলএনজি বিতরণের পরিকল্পনা করছে, যা দেশের জ্বালানি অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

 

বর্তমানে দেশের এলএনজি টার্মিনালগুলো বছরে ১১৫টি কার্গো পরিচালনা করতে সক্ষম এবং কাতার থেকে আরও কার্গো আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

 

বৈঠকে কাতারের মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে ইউরিয়া সার সরবরাহও বাড়াতে চায় তাদের দেশ।

 

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বিডা চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ, এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং জ্বালানি সচিব মো. সাইফুল ইসলাম।

জনপ্রিয়

ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করল কারিগরি ছাত্র আন্দোলন

কাতারের সঙ্গে এলএনজি সরবরাহ চুক্তি নবায়ন এবং টার্মিনাল নির্মাণে অগ্রগতি

প্রকাশিত: ৪ ঘন্টা আগে

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দোহায় কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি আর্থনা সামিটের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের সঙ্গে এলএনজি সরবরাহ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশে প্রস্তাবিত স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে কারিগরি অগ্রগতি সাধনে আগ্রহ প্রকাশ করে কাতার।

 

মন্ত্রী বলেন, “আমরা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে চাই এবং তা অব্যাহত রাখব।”

 

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে কাতার গ্যাসের সঙ্গে ১৫ বছরের জন্য বছরে ১.৫-২.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানির চুক্তি করে বাংলাদেশ। এর আওতায় প্রতিবছর ৪০টি কার্গো আমদানি করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের জুনে দ্বিতীয় একটি বিক্রয় ও ক্রয় চুক্তি (এসপিএ) স্বাক্ষরিত হয়, যা ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এবং এর আওতায় অতিরিক্ত ১.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবরাহ করবে কাতার।

 

সম্প্রতি এই এসপিএ-সংক্রান্ত এমওইউয়ের মেয়াদ শেষ হওয়ায় কাতার তা নবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়।

 

জ্বালানিমন্ত্রী কাবি বলেন, “আমরা এমওইউ সই করতে প্রস্তুত।” তিনি দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করে জানান, কাতার তাদের এলএনজি উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করছে, যা ভবিষ্যতে দাম হ্রাসে সহায়ক হবে।

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ কাতারের সহায়তায় জ্বালানি সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে চায়। আমাদের জ্বালানি খাতকে পুনর্গঠনে আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন।”

 

জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, বাংলাদেশ কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ এবং পাইপলাইনের মাধ্যমে এলএনজি সরবরাহ ও আর-এলএনজি বিতরণের পরিকল্পনা করছে, যা দেশের জ্বালানি অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

 

বর্তমানে দেশের এলএনজি টার্মিনালগুলো বছরে ১১৫টি কার্গো পরিচালনা করতে সক্ষম এবং কাতার থেকে আরও কার্গো আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

 

বৈঠকে কাতারের মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে ইউরিয়া সার সরবরাহও বাড়াতে চায় তাদের দেশ।

 

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বিডা চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ, এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং জ্বালানি সচিব মো. সাইফুল ইসলাম।