ঢাকা , শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
একই ফোনে দুইটি হোয়াটসঅ্যাপ! জেনে নিন সহজ পদ্ধতি পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধে চরম ক্ষতির মুখে এয়ার ইন্ডিয়া, বছরে বাড়তি খরচ প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার সবজির দাম বেড়েই চলেছে, মুরগি-ডিমেও আগুন! আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে গুচ্ছভুক্ত ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মহেশপুর সীমান্তে নারী ও শিশু পাচারের সময় ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৪ জামায়াত নেতাকে হুমকির ঘটনায় রাজারহাট বিএনপি আহ্বায়ককে শোকজ ভ্যাকসিনের পর গবাদিপশুর মৃত্যুতে খাগড়াছড়িতে তদন্ত রাজশাহীতে সাবেক কাউন্সিলর কামাল হোসেনের মৃত্যু মোহনগঞ্জে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু দাবি আদায়ের নামে জনদুর্ভোগ বন্ধের আহ্বান শিক্ষা উপদেষ্টার

পাচার করা টাকা ফেরাতে দ্রুত বিশেষ আইন করা হবে: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায় সেটা ত্বরান্বিত করার জন্য একটা বিশেষ আইন খুব শিগগিরই করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আপনারা এই আইনটা দেখবেন।

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, পাচার করা টাকা উদ্ধারের জন্য প্রথম থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার তৎপর ছিল। প্রফেসর ইউনূস প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে, এটা বাংলাদেশের মানুষের টাকা। আমাদের টপ প্রায়োরিটির ভেতরে এটা থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ফোকাস ছিল, পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায়। সেজন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর।

শফিকুল আলম বলেন, টাকাটা ফেরত আনার প্রচেষ্টা কতদূর এগোল, সেটার ওপর আজ একটা বড় মিটিং হয়। মিটিংয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা। সেই মিটিংয়ে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রচুর ল ফার্মের সঙ্গে সরকার ও টাস্কফোর্স কথা বলছে। ল ফার্মের সঙ্গে অ্যাগ্রিমেন্ট করতে এ আইনটা সাহায্য করবে। ২০০টা ল ফার্মের সঙ্গে আমরা অলরেডি কথা বলেছি। তবে এখনো সিলেকশন হয়নি। একটা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিলেকশন হবে। ৩০টার মতো ল ফার্মের সঙ্গে অ্যাগ্রিমেন্টে যাব। সেটা নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এগুলো বাংলাদেশের টাকা, যত দ্রুত সম্ভব টাকা ফেরত আনা যায়। এটার বিষয়ে প্রতি মাসে হাই পাওয়ার মিটিং হবে। ঈদের পর আরেকটা মিটিং তিনি ডেকেছেন। এখন থেকে এ বিষয়ে প্রতি মাসে মিটিং করা হবে, বলেন প্রেস সচিব।

শফিকুল আলম বলেন, যে পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। সেটা কতটুকু হয়েছে? আমরা যতটুকু জেনেছি, এটা আরও ডিটেইলসে জানার জন্য প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন।

বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যানের জানিয়েছেন, অনেক ছেলে-মেয়ে বিদেশে পড়তে যায়। একটা কেসে দেখা গেছে, ছেলের টিউশন ফি হিসেবে ৪০০-৫০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। মানি লন্ডারিংটা কীভাবে হয়েছে দেখেন।

 

জনপ্রিয়

একই ফোনে দুইটি হোয়াটসঅ্যাপ! জেনে নিন সহজ পদ্ধতি

পাচার করা টাকা ফেরাতে দ্রুত বিশেষ আইন করা হবে: প্রেস সচিব

প্রকাশিত: ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায় সেটা ত্বরান্বিত করার জন্য একটা বিশেষ আইন খুব শিগগিরই করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আপনারা এই আইনটা দেখবেন।

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, পাচার করা টাকা উদ্ধারের জন্য প্রথম থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার তৎপর ছিল। প্রফেসর ইউনূস প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে, এটা বাংলাদেশের মানুষের টাকা। আমাদের টপ প্রায়োরিটির ভেতরে এটা থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ফোকাস ছিল, পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায়। সেজন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর।

শফিকুল আলম বলেন, টাকাটা ফেরত আনার প্রচেষ্টা কতদূর এগোল, সেটার ওপর আজ একটা বড় মিটিং হয়। মিটিংয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা। সেই মিটিংয়ে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রচুর ল ফার্মের সঙ্গে সরকার ও টাস্কফোর্স কথা বলছে। ল ফার্মের সঙ্গে অ্যাগ্রিমেন্ট করতে এ আইনটা সাহায্য করবে। ২০০টা ল ফার্মের সঙ্গে আমরা অলরেডি কথা বলেছি। তবে এখনো সিলেকশন হয়নি। একটা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিলেকশন হবে। ৩০টার মতো ল ফার্মের সঙ্গে অ্যাগ্রিমেন্টে যাব। সেটা নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এগুলো বাংলাদেশের টাকা, যত দ্রুত সম্ভব টাকা ফেরত আনা যায়। এটার বিষয়ে প্রতি মাসে হাই পাওয়ার মিটিং হবে। ঈদের পর আরেকটা মিটিং তিনি ডেকেছেন। এখন থেকে এ বিষয়ে প্রতি মাসে মিটিং করা হবে, বলেন প্রেস সচিব।

শফিকুল আলম বলেন, যে পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। সেটা কতটুকু হয়েছে? আমরা যতটুকু জেনেছি, এটা আরও ডিটেইলসে জানার জন্য প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন।

বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যানের জানিয়েছেন, অনেক ছেলে-মেয়ে বিদেশে পড়তে যায়। একটা কেসে দেখা গেছে, ছেলের টিউশন ফি হিসেবে ৪০০-৫০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। মানি লন্ডারিংটা কীভাবে হয়েছে দেখেন।