বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন শুক্রবার (৭ মার্চ) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন, যেখানে তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের টাকার উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানতে চান, ছাত্রশিবির এত বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে সংগ্রহ করছে, বিশেষ করে গণ-ইফতার কর্মসূচিতে দৈনিক তিন লাখ টাকা ব্যয়ের প্রসঙ্গ তুলে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা শুনেছি, ছাত্রশিবির প্রতিদিন গণ-ইফতার কর্মসূচিতে তিন লাখ টাকা খরচ করছে। আমাদের প্রশ্ন, তারা এত টাকা কোথা থেকে পাচ্ছে? তাদের আয়ের উৎস কী?”
এদিকে, নাছির উদ্দীনের মন্তব্যের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবির সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম তার ফেসবুক পোস্টে শিবিরের আয়ের উৎস ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি জানান, শিবিরের আয়ের উৎস তাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমাদের কর্মীরা তাদের টিউশন করা জমানো টাকা ছাত্রকল্যাণ ফান্ডে দান করে। আমাদের মায়েরা তাদের গলার হার আমাদের বিশ্বাস করে দিয়ে দেয়। আমাদের বোনেরা রান্নার মুষ্টি চাল জমা করে আমাদের দিয়ে দেয়। আমাদের ভাইয়েরা তাদের কষ্টের টাকা চিন্তা না করেই আমাদের দেয়।”
রিয়াজুল ইসলাম আরও বলেন, “আমাদের কোনো ব্যক্তিগত আয় বা ব্যয় নেই। আমাদের যা আয়, যা ব্যয় সব সংগঠনের জন্য নিবেদিত। আমাদের আয়ের উৎস সংগঠন-প্রকাশনীর মুনাফা, কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দান এবং শরিয়ত অনুমোদিত অন্যান্য খাতসমূহ থেকে প্রাপ্ত অর্থ।”
তিনি আরও প্রশ্ন করে বলেন, “যারা আমাদের নিয়ে প্রশ্ন করেন, তাদের অনুরোধ করবো, বুকে হাত রেখে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলুন, আপনার দলের টাকা কোথা থেকে আসে?”
এছাড়া, তিনি দাবি করেন, ছাত্রশিবিরের কর্মীরা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের কাছ থেকে দান সংগ্রহ করেন, এবং এটি তাদের আয়ের প্রধান উৎস।
এ ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে শিবির টাকার উৎস নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছে, তবে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এর প্রকৃততা নিয়ে আরও তদন্তের দাবি করা হয়েছে।