বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি কখনোই অন্যায়ের সঙ্গে আপস করে না। তিনি শনিবার যশোর ঈদগাহ ময়দানে জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, “বর্তমানে অনেকেই সংস্কারের কথা বলছেন, তবে একমাত্র বিএনপি স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আড়াই বছর আগে দেশ পুনর্গঠনের কথা বলেছিল এবং ৩১ দফা ঘোষণা করেছিল। বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ্য জনগণ ও দেশ। তাই ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব। জনগণের ভোটে বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে সবার আগে পুনর্গঠন করা হবে।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “বিএনপি জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো কাজ করে না। বিএনপিই একমাত্র দল, যেটি নিজ দলের দোষী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। বিভ্রান্ত হয়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়া নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে কারো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।”
তিনি দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে বলেন, “দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ পুনর্গঠনে দ্রুততম সময়ে স্বচ্ছ নির্বাচন দেওয়া জরুরি।”
বিএনপির যশোর জেলা সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু। সম্মেলনে কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা ও পৌর ইউনিটের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এদিন যশোর জেলা বিএনপির দীর্ঘ ১৬ বছর পর দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের শুরুতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন-সংগ্রামে নিহত দলের নেতাকর্মীদের স্মরণে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
বিএনপির নেতাকর্মীরা সম্মেলন ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রকাশ করেন। শহরজুড়ে সাজসজ্জার বাহার, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে যায় প্রধান সড়কগুলো। সকাল ১০টার মধ্যে সম্মেলনস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। স্থানীয় নেতাকর্মীরা মিছিলসহকারে সম্মেলনে যোগ দেন।
নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, দলের দুর্দিনে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তারা যেন সঠিক মূল্যায়ন পান এবং দলকে সুসংগঠিত করে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী করতে ভূমিকা রাখবে এমন নেতৃত্ব চান।