ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
গ্রাম আদালত বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় না: ধর্ম উপদেষ্টা মার্কিন ভ্রমণ সতর্কতা নিয়ে ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় স্থগিত করলেন চেম্বার আদালত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬.৭০ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে পিএসসির নতুন বিজ্ঞপ্তি চবির সমাবর্তনের ১৮ হাজার সনদে নিজ হাতে স্বাক্ষর করছেন উপাচার্য উখিয়ায় চাকমা তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে রোহিঙ্গা যুবক আটক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন প্লাটফর্মের বিলুপ্তি চান সাধারণ শিক্ষার্থীরা টঙ্গীতে চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

অনিয়মিত পথের অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্ব নিষিদ্ধঃ যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যে নাগরিকত্বের আবেদন পরীক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তরে নতুন নির্দেশিকা পাঠিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে অনিয়মিত পথে আসা অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশটিতে অনিয়মিত পথে আসা অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীরা বিপাকে পড়তে পারেন। বিশেষ করে, ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে আসা অভিবাসীরা এ সিদ্ধান্তের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছেন।

অনিয়মিত পথে আসা অভিবাসীদের নাগরিকত্ব আবেদন ‘নীতিগতভাবে’ প্রত্যাখ্যানের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে অভিবাসন সংস্থা এবং এনজিওগুলো। ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মধ্যেও এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

ব্রিটেনের জাতীয়তা আবেদনের জন্য নির্ধারিত কার্যালয়ে প্রেরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, অনিয়মিত পথে আসা ব্যক্তিরা যুক্তরাজ্যে যত বছর থাকেন না কেন, তাদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে। বিশেষ করে চ্যানেল পেরিয়ে আসা ব্যক্তিদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে। তবে, নাগরিকত্বের আবেদনগুলো শুরুতেই প্রত্যাখ্যান না করে প্রতিটি ধাপ অনুসরণ এবং সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ‘‘অনিয়মিত পথে আগতদের জাতীয়তা লাভের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে।’’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘‘এই নির্দেশিকাটি কিছু ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। যাতে অনিয়মিতভাবে বা ছোটো নৌকায় চড়ে যুক্তরাজ্যে আসা ব্যক্তিরা ব্রিটিশ নাগরিকত্ব আবেদন প্রত্যাখ্যানের ঝুঁকির ব্যাপারে জানতে পারেন।’’

এ উদ্যোগের মাধ্যমে কিয়ার স্টারমারের সরকার আংশিকভাবে তার পূর্বসূরি রক্ষণশীল ঋষি সুনাক সরকারের একটি প্রকল্প গ্রহণ করছে। সুনাক অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে লড়াইকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তবে স্টারমারের নতুন পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। লেবার এমপি স্টেলা ক্রিসি মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘আমরা যদি কাউকে শরণার্থী মর্যাদা দিই, তাহলে তাকে ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়।’’

ব্রিটেনের অভিবাসন ও আশ্রয় নীতি নিয়ে কাজ করা এনজিও ফ্রি মুভমেন্ট বলছে, ‘‘এই পরিবর্তনগুলো বড় সংখ্যক শরণার্থীকে নাগরিকত্ব থেকে বিরত রাখবে এবং এটি ইন্টিগ্রেশন বা একীকরণের জন্য ক্ষতিকর।’’

ব্রিটেনে অতি ডানপন্থি নাইজেল ফ্যারাজের অভিবাসন-বিরোধী রিফর্ম ইউকে পার্টির জনমত জরিপে এগিয়ে যাওয়ায় লেবার পার্টির উপর অভিবাসন নিয়ে চাপ বেড়েছে। গত জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাঁচটি আসন জিতেছে রিফর্ম ইউকে পার্টি। গত গ্রীষ্মে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কিয়ার স্টারমার অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে এবং বিশেষ করে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই সংক্রান্ত বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন।

জনপ্রিয়

গ্রাম আদালত বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন

অনিয়মিত পথের অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্ব নিষিদ্ধঃ যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত: ০২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাজ্যে নাগরিকত্বের আবেদন পরীক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তরে নতুন নির্দেশিকা পাঠিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে অনিয়মিত পথে আসা অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশটিতে অনিয়মিত পথে আসা অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীরা বিপাকে পড়তে পারেন। বিশেষ করে, ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে আসা অভিবাসীরা এ সিদ্ধান্তের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছেন।

অনিয়মিত পথে আসা অভিবাসীদের নাগরিকত্ব আবেদন ‘নীতিগতভাবে’ প্রত্যাখ্যানের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে অভিবাসন সংস্থা এবং এনজিওগুলো। ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মধ্যেও এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

ব্রিটেনের জাতীয়তা আবেদনের জন্য নির্ধারিত কার্যালয়ে প্রেরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, অনিয়মিত পথে আসা ব্যক্তিরা যুক্তরাজ্যে যত বছর থাকেন না কেন, তাদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে। বিশেষ করে চ্যানেল পেরিয়ে আসা ব্যক্তিদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে। তবে, নাগরিকত্বের আবেদনগুলো শুরুতেই প্রত্যাখ্যান না করে প্রতিটি ধাপ অনুসরণ এবং সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ‘‘অনিয়মিত পথে আগতদের জাতীয়তা লাভের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে।’’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘‘এই নির্দেশিকাটি কিছু ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। যাতে অনিয়মিতভাবে বা ছোটো নৌকায় চড়ে যুক্তরাজ্যে আসা ব্যক্তিরা ব্রিটিশ নাগরিকত্ব আবেদন প্রত্যাখ্যানের ঝুঁকির ব্যাপারে জানতে পারেন।’’

এ উদ্যোগের মাধ্যমে কিয়ার স্টারমারের সরকার আংশিকভাবে তার পূর্বসূরি রক্ষণশীল ঋষি সুনাক সরকারের একটি প্রকল্প গ্রহণ করছে। সুনাক অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে লড়াইকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তবে স্টারমারের নতুন পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। লেবার এমপি স্টেলা ক্রিসি মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘আমরা যদি কাউকে শরণার্থী মর্যাদা দিই, তাহলে তাকে ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়।’’

ব্রিটেনের অভিবাসন ও আশ্রয় নীতি নিয়ে কাজ করা এনজিও ফ্রি মুভমেন্ট বলছে, ‘‘এই পরিবর্তনগুলো বড় সংখ্যক শরণার্থীকে নাগরিকত্ব থেকে বিরত রাখবে এবং এটি ইন্টিগ্রেশন বা একীকরণের জন্য ক্ষতিকর।’’

ব্রিটেনে অতি ডানপন্থি নাইজেল ফ্যারাজের অভিবাসন-বিরোধী রিফর্ম ইউকে পার্টির জনমত জরিপে এগিয়ে যাওয়ায় লেবার পার্টির উপর অভিবাসন নিয়ে চাপ বেড়েছে। গত জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাঁচটি আসন জিতেছে রিফর্ম ইউকে পার্টি। গত গ্রীষ্মে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কিয়ার স্টারমার অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে এবং বিশেষ করে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই সংক্রান্ত বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন।