জুলাই গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে সাধারণ আলেম সমাজ তাদের লিখিত মতামত দিয়েছে।
জুলাই ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব তুলে ধরে একটি সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়ভিত্তিক এবং ইসলামি মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্র গঠনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন সাধারণ আলেম সমাজ। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য মুহাম্মদ ইউসুফ আহমাদ এই তথ্য জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি গণআন্দোলন নয়; এটি বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘ শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক পুনর্জাগরণ। আলেম সমাজ মনে করে, জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বিপ্লবের স্বীকৃতি দেওয়া এবং সাংবিধানিক কাঠামোতে এর প্রতিফলন ঘটানো অত্যন্ত জরুরি।
জুলাই ঘোষণাপত্রে শহীদ ও আহতদের স্বীকৃতি এবং পুনর্বাসন, নেতৃত্বের স্বীকৃতি, ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়া, সংবিধান পুনর্লিখনে গণপরিষদ গঠন এবং সর্বস্তরের ফ্যাসিবাদী কাঠামো বিলোপের প্রস্তাবও বিবৃতিতে তুলে ধরা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সাধারণ আলেম সমাজ দীর্ঘদিন ধরে ইসলামি মূল্যবোধ ও জাতীয় ঐতিহ্যের ভিত্তিতে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে এই সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে ইসলামি চেতনা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধকে জনগণের সংগ্রামের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে তারা গাশত কর্মসূচির মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মাদরাসা শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণে ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে আলেমরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের মতে, বিপ্লবের সাফল্য নির্ভর করছে জনগণের ইচ্ছার প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতার ওপর।
জুলাই ঘোষণাপত্রের লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে ন্যায়ভিত্তিক ও সার্বিক রাষ্ট্র গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আলেম সমাজ।