এটি সরকার ঘোষিত নৌরুট নয়, যেখানে যাত্রী বা পণ্যবাহী নৌযান প্রায় চলে না। উজানে নেই নদীবন্দর বা স্থলবন্দর, কেবল গ্রামীণ নৌযান চলাচল করে, আর শুষ্ক মৌসুমেও গভীরতা থাকে ৩.৫-৪ ফুট।
সরকারের ৩৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকার একটি প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা দেখা দিয়েছে, যেখানে হাওর এলাকার নদী খননে নৌরুট নয় এমন স্থানে কার্যপরিধি লঙ্ঘন করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বিআইডব্লিউটিএ। সমীক্ষা ছাড়াই অনুমোদিত এই প্রকল্পে পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন হয়নি এবং দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
প্রকল্পটি ২০২২ সালে অনুমোদন করে তৎকালীন সরকার, যার মূল লক্ষ্য ছিল মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রামের নদীগুলোর নাব্য উন্নয়ন। তবে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি এ প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করে জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের তেমন কোনো উপকার হবে না। কমিটি প্রকল্প ব্যয়ের ২৭২ কোটি টাকার কাজ বাতিলের সুপারিশ করেছে।
প্রকল্পের নথিপত্রে দেখা যায়, এলাকাটিতে উল্লেখযোগ্য নৌচলাচল নেই। শুষ্ক মৌসুমেও পানির গভীরতা ৩.৫-৪ ফুট থাকে। পূর্বে জমা দেওয়া তথ্যে নৌচলাচলের সংখ্যা এবং নদী ভরাটের প্রয়োজনীয়তা অতিরঞ্জিত করা হয়।
ঠিকাদার নিয়োগেও কারসাজি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিছু ঠিকাদারকে প্রাক্কলিত গোপন দর সরবরাহ করা হয়, যা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহায়তায় সম্ভব হয়েছে। সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রীর দপ্তরের সম্পৃক্ততার অভিযোগও উঠেছে। তবে প্রকল্প পরিচালক এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিশ্লেষকরা এটিকে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।