ঢাকা , বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিশ্বজুড়ে মোবাইল গেমারদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে কাশ্মীর ইস্যুর উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের ৬৩০ বিলিয়ন রুপির রাফাল-এম চুক্তি, বার্তা চীন-পাকিস্তানকে কাশ্মীরে পর্যটক নিহতের ঘটনায় ভারতকে দায়ী করলেন শহীদ আফ্রিদি জলাবদ্ধতা নিরসনে ৪০০ কোটি টাকা চাইলেন চসিক মেয়র শিক্ষার্থীদের শ্রেণিমুখী রাখতে কো-কারিকুলার কার্যক্রমে জোর স্টিকার ছাড়া সচিবালয়ে যানবাহন প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে বাড়ি নির্মাণের নির্দেশ, না মানলে বাতিল ও জরিমানার হুঁশিয়ারি রাশিয়া ও সৌদি আরব থেকে ৭০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন, ব্যয় ৪৫২ কোটি টাকা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত, কওমি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ আলুবীজের ন্যায্য মূল্য দাবিতে বগুড়া ও জয়পুরহাটে কৃষকদের মানববন্ধন

আট-নয় তলার নথিপত্র সব পুড়ে গেছে বলে ধারণা ফায়ার ডিজির

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে লাগা আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ভবনের আট-নয় তলার গুরুত্বপূর্ণ সব নথিপত্র পুড়ে গেছে বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগুনে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আট ও নয় তলা। সেখানে থাকা নথিপত্র পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা হচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, তারা আগুন লাগার খবর পায় দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে। ১টা ৫৪ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য আটটি ইউনিট কাজ করলেও, পরে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়। পরে আগুন প্রায় ৬ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার আগে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুনে ভবনটির ছয়, সাত, আট, নয় তলা পুড়ে যায়।

ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সংবাদ সম্মেলন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের ২০ ইউনিট ও ২১১ ফায়ারকর্মী কাজ করেছে। তবে জায়গা সংকটের কারণে ১০ ইউনিট সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পেরেছে। এখন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কক্ষে কক্ষে প্রবেশ করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, আট ও ৯ তলা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাছাড়া বেশিরভাগ তলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল।

ডিজি জানান, আগুনের উৎস এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারিনি। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তারপরও আমরা নিশ্চিত না হয়ে এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।

জনপ্রিয়

বিশ্বজুড়ে মোবাইল গেমারদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

আট-নয় তলার নথিপত্র সব পুড়ে গেছে বলে ধারণা ফায়ার ডিজির

প্রকাশিত: ১২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে লাগা আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ভবনের আট-নয় তলার গুরুত্বপূর্ণ সব নথিপত্র পুড়ে গেছে বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগুনে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আট ও নয় তলা। সেখানে থাকা নথিপত্র পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা হচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, তারা আগুন লাগার খবর পায় দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে। ১টা ৫৪ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য আটটি ইউনিট কাজ করলেও, পরে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়। পরে আগুন প্রায় ৬ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার আগে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুনে ভবনটির ছয়, সাত, আট, নয় তলা পুড়ে যায়।

ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সংবাদ সম্মেলন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের ২০ ইউনিট ও ২১১ ফায়ারকর্মী কাজ করেছে। তবে জায়গা সংকটের কারণে ১০ ইউনিট সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পেরেছে। এখন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কক্ষে কক্ষে প্রবেশ করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, আট ও ৯ তলা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাছাড়া বেশিরভাগ তলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল।

ডিজি জানান, আগুনের উৎস এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারিনি। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তারপরও আমরা নিশ্চিত না হয়ে এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।