ইরানের রাজধানী তেহরানসহ আশপাশের এলাকায় ইসরাইলের চালানো একাধিক বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও বার্তাসংস্থা শুক্রবার সকালে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
রয়টার্স ও সিএনএন জানিয়েছে, রাতভর ইসরাইলের পরিচালিত এই হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল তেহরানের আইআরজিসি সদর দপ্তর। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন জেনারেল সালামি। হামলায় তার মৃত্যু হয় বলে জানায় একাধিক ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
২০১৯ সাল থেকে আইআরজিসি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন হোসেইন সালামি, যিনি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক প্রভাব বিস্তারের কৌশল নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন। ইরাক, সিরিয়া ও লেবাননে ইরানের সামরিক তৎপরতায় সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
হামলার পরপরই ইরানি সেনাবাহিনী ও আইআরজিসি সালামির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে।
তেহরানে শোকের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় মানুষের জড়ো হওয়া, মসজিদে কোরআন তিলাওয়াত ও রাষ্ট্রীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার চিত্র দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, ইরানে হামলার পর ইসরাইলজুড়ে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও জরুরি অবস্থা।
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির শঙ্কা আরও জোরালো হয়েছে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে এই হামলার পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, একজন শীর্ষ জেনারেলের মৃত্যু ইরানকে বড় প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে ঠেলে দিতে পারে, যা পুরো অঞ্চলকে এক অনির্দেশ্য সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
এই মুহূর্তে তেহরান ও তেলআবিব—উভয় রাজধানীই উত্তপ্ত। জেনারেল সালামির মৃত্যু শুধু ইরানের জন্য নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটাতে পারে।