ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
২৬ জুন শুরু এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা, করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ ইরানের ‘শাসন বদলের’ মিশনে ইসরায়েল, উত্তাল মধ্যপ্রাচ্য ভারী অস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় প্রাণহানি বাড়ছে আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা: যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ তদন্তকারী দল ভারতে তেহরানের বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ যমুনা সেতুর দুই প্রান্তে তীব্র যানজট, কর্মস্থলে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ চরমে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলে হতাহত ৮০ ক্যানসারের দ্বিগুণ কার্যকরী ওষুধ উদ্ভাবনের দাবি মার্কিন গবেষকদের

বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির টিয়া মাছ

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা উপকূলে বঙ্গোপসাগরের গহিন থেকে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির ৪টি টিয়া মাছ। স্থানীয়ভাবে ‘টিয়া মাছ’ নামে পরিচিত হলেও এর বৈজ্ঞানিক নাম স্কারাস জুফার (Scarus zufar)। সচরাচর এই মাছ বাংলাদেশের উপকূলে দেখা যায় না।

 

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বেলা এগারোটার দিকে মাছগুলো পটুয়াখালীর আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসেন জেলে আবু সালেক (৪০)। তার আগের রাতে কুয়াকাটার কাছে বঙ্গোপসাগরের পায়রা বন্দরের শেষ বয়া এলাকায় মাছগুলো ধরা পড়ে। চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে ‘আল্লাহর দোয়া-৪’ নামের ট্রলারে ১৭ জন জেলেকে নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সালেক।

 

মাছগুলোর মোট ওজন প্রায় ৫ কেজি। রঙিন শরীর ও টিয়া পাখির মতো মাথা থাকার কারণে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয় এবং উৎসুক জনতা এগুলো এক নজর দেখতে ভিড় করেন।

 

পরে মাছগুলো বড় পোয়া মাছের সঙ্গে নিলামে তোলা হয়। প্রতি কেজি ৫০০ টাকা দরে মাছগুলো কিনে নেন পাইকারি ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এরকম মাছ সচরাচর দেখা যায় না। আমার ধারণা, শৌখিন ক্রেতাদের কাছে ভালো দামে বিক্রি হবে।’

 

স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, স্কারাস জুফার সাধারণত ওমান উপকূলসহ দক্ষিণ আরব সাগরীয় অঞ্চলে দেখা যায়। ১৯৯৫ সালে প্রজাতিটি বৈজ্ঞানিকভাবে শনাক্ত হয়। বাংলাদেশে এই প্রজাতির দেখা খুবই বিরল।

 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মাছগুলো বিরল প্রজাতির। সাধারণত রিফ বা প্রবালপ্রবণ এলাকায় এদের পাওয়া যায়। বঙ্গোপসাগরে এমন প্রজাতি ধরা পড়া আমাদের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত।’

 

মৎস্য বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও সাগরের তলদেশে পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে নতুন কিছু প্রজাতির আগমন ঘটছে, আবার কিছু পুরনো প্রজাতি হারিয়ে যাচ্ছে। সাগরের জীববৈচিত্র্য পর্যবেক্ষণে এ ধরনের বিরল মাছ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে বলে জানান তারা।

জনপ্রিয়

২৬ জুন শুরু এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা, করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ

বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির টিয়া মাছ

প্রকাশিত: ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা উপকূলে বঙ্গোপসাগরের গহিন থেকে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির ৪টি টিয়া মাছ। স্থানীয়ভাবে ‘টিয়া মাছ’ নামে পরিচিত হলেও এর বৈজ্ঞানিক নাম স্কারাস জুফার (Scarus zufar)। সচরাচর এই মাছ বাংলাদেশের উপকূলে দেখা যায় না।

 

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বেলা এগারোটার দিকে মাছগুলো পটুয়াখালীর আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসেন জেলে আবু সালেক (৪০)। তার আগের রাতে কুয়াকাটার কাছে বঙ্গোপসাগরের পায়রা বন্দরের শেষ বয়া এলাকায় মাছগুলো ধরা পড়ে। চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে ‘আল্লাহর দোয়া-৪’ নামের ট্রলারে ১৭ জন জেলেকে নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সালেক।

 

মাছগুলোর মোট ওজন প্রায় ৫ কেজি। রঙিন শরীর ও টিয়া পাখির মতো মাথা থাকার কারণে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয় এবং উৎসুক জনতা এগুলো এক নজর দেখতে ভিড় করেন।

 

পরে মাছগুলো বড় পোয়া মাছের সঙ্গে নিলামে তোলা হয়। প্রতি কেজি ৫০০ টাকা দরে মাছগুলো কিনে নেন পাইকারি ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এরকম মাছ সচরাচর দেখা যায় না। আমার ধারণা, শৌখিন ক্রেতাদের কাছে ভালো দামে বিক্রি হবে।’

 

স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, স্কারাস জুফার সাধারণত ওমান উপকূলসহ দক্ষিণ আরব সাগরীয় অঞ্চলে দেখা যায়। ১৯৯৫ সালে প্রজাতিটি বৈজ্ঞানিকভাবে শনাক্ত হয়। বাংলাদেশে এই প্রজাতির দেখা খুবই বিরল।

 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মাছগুলো বিরল প্রজাতির। সাধারণত রিফ বা প্রবালপ্রবণ এলাকায় এদের পাওয়া যায়। বঙ্গোপসাগরে এমন প্রজাতি ধরা পড়া আমাদের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত।’

 

মৎস্য বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও সাগরের তলদেশে পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে নতুন কিছু প্রজাতির আগমন ঘটছে, আবার কিছু পুরনো প্রজাতি হারিয়ে যাচ্ছে। সাগরের জীববৈচিত্র্য পর্যবেক্ষণে এ ধরনের বিরল মাছ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে বলে জানান তারা।