ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
মধুখালীতে ট্রলির সঙ্গে সংঘর্ষে বিক্রয় প্রতিনিধি নিহত লাবণী পয়েন্টে ঝুঁকিপূর্ণ বিলবোর্ড, আতঙ্কে পর্যটকরা ইউনূস-তারেক বৈঠকে বিচার ও সংস্কার উপেক্ষিত: হাসনাত আবদুল্লাহর মন্তব্য ঠাকুরগাঁওয়ে ফিটনেস ও কাগজবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান, দেড় লাখ টাকা জরিমানা পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘরে সুফল পাচ্ছেন ফরিদপুরের কৃষকরা মহেশপুর সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৬ জনকে পুশইন করল বিএসএফ করোনা সংক্রমণ বাড়ায় মোংলা বন্দরে জারি বিশেষ সতর্কতা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে লন্ডনে আমীর খসরুর বৈঠক রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব তারেক রহমানের, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক আবাসিকে গ্যাস নয়, গ্যাসক্ষেত্রেও থাকবে এলপিজি: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান

খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধস, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

খাগড়াছড়িতে কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।

 

জানা গেছে, গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া বাজার এবং দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের কিছু নিচু এলাকা ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে মাইনী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মেরুং ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।

 

এদিকে, টানা ভারী বর্ষণের ফলে মাইনী নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে, যার ফলে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

 

এছাড়া, পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা অন্তত পাঁচ শতাধিক মানুষকে খাগড়াছড়ি সদরের শালবন এলাকার শিশু কল্যাণ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

 

খাগড়াছড়ি পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা জানান, বন্যা ও পাহাড় ধস মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। যেসব স্থানে ধসের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো দ্রুত অপসারণ করা হয়েছে।

 

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় বলেন, সকাল থেকেই বেশ কয়েকটি সড়কে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সদর উপজেলায় চারটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

জনপ্রিয়

মধুখালীতে ট্রলির সঙ্গে সংঘর্ষে বিক্রয় প্রতিনিধি নিহত

খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধস, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশিত: ০৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

খাগড়াছড়িতে কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।

 

জানা গেছে, গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া বাজার এবং দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের কিছু নিচু এলাকা ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে মাইনী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মেরুং ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।

 

এদিকে, টানা ভারী বর্ষণের ফলে মাইনী নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে, যার ফলে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

 

এছাড়া, পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা অন্তত পাঁচ শতাধিক মানুষকে খাগড়াছড়ি সদরের শালবন এলাকার শিশু কল্যাণ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

 

খাগড়াছড়ি পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা জানান, বন্যা ও পাহাড় ধস মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। যেসব স্থানে ধসের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো দ্রুত অপসারণ করা হয়েছে।

 

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় বলেন, সকাল থেকেই বেশ কয়েকটি সড়কে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সদর উপজেলায় চারটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।