রাখাইনে মানবিক চ্যানেল প্রদান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও আরাকান আর্মিসহ সাম্প্রতিক আলোচিত বিষয়গুলোর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সর্বশেষ অবস্থান স্পষ্ট করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। বুধবার (২১ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো প্রশ্নোত্তর আকারের এক ব্যাখ্যায় এসব তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ জানিয়েছে, রাখাইনের মানবিক সংকট এবং সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় জাতিসংঘের সহায়তায় মানবিক সহায়তা প্রদানের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।
আরাকান আর্মির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রাখার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সীমান্ত নিরাপত্তা ও রাখাইনের শাসন কাঠামোতে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন থেকেই এ যোগাযোগ। পাশাপাশি, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তার শর্ত হিসেবে নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার, সামরিক উদ্দেশ্যে সহায়তার ব্যবহার না হওয়া এবং সশস্ত্র কার্যকলাপ বন্ধ রাখার বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রেস উইং আরও জানায়, নিরাপত্তার দিক থেকে ল্যান্ডমাইন ও বিস্ফোরকের ঝুঁকি থাকায় মানবিক সহায়তা প্রদানের আগে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ থামাতে বাংলাদেশ আরাকান আর্মিকে বলেছে—রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, বৈষম্য ও বাস্তুচ্যুতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশের আরাকান আর্মির সঙ্গে ভবিষ্যৎ যোগাযোগ নির্ভর করবে তাদের ভূমিকা ও মানবিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতির ওপর।