ঢাকা , বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আ.লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার ঘটনাবলী নিয়ে সচেতন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট সাম্য হত্যাকাণ্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কোথায়? এনবিআর বিলুপ্তি একটি কসমেটিক সংস্কারমাত্র: মঈন খান সৌদি-ইসরাইল সম্পর্কের পথে ট্রাম্পের কূটনৈতিক চাপ ব্রাজিলের কোচ আনচেলত্তি, আপত্তি লুলার: “বিদেশি কোচের প্রয়োজন নেই” ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে নগরভবন ঘেরাও, ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম আন্দোলনকারীদের গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করব না : নেতানিয়াহু পুরো কাশ্মিরকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করল ভারত আসাদগেটে অভিযান: ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ, ক্ষতিপূরণের ঘোষণা ডিএনসিসির পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনকে সরানোর সিদ্ধান্ত সরকারের

সৌদি-ইসরাইল সম্পর্কের পথে ট্রাম্পের কূটনৈতিক চাপ

সৌদি আরবকে ইসরাইলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি একে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি তার জন্য ‘ব্যক্তিগত সম্মানের বিষয়’ হবে।

মঙ্গলবার রিয়াদে অনুষ্ঠিত সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে ভাষণ দিতে গিয়ে ট্রাম্প সরাসরি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি এই আহ্বান জানান। ওই ফোরামে যুবরাজের পাশে বসা ছিলেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক।

ট্রাম্প বলেন, “আমার দৃঢ় প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা এবং এমনকি স্বপ্ন—সৌদি আরব শিগগিরই আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগ দেবে। এটি আপনার দেশের জন্য এক বিশাল মর্যাদার বিষয় হবে এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডস এর মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। যদিও সৌদি আরব এখনো সেই পথে হাঁটেনি, তবে বিগত কয়েক বছরে গোপন আলোচনার খবর গণমাধ্যমে এসেছে।

আব্রাহাম অ্যাকর্ডসকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর জন্য একটি সফল কূটনৈতিক উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “এই উদ্যোগ ছিল শান্তির জন্য, এবং তা অত্যন্ত সফলভাবে এগোচ্ছিল।” এ সময় তিনি বাইডেন প্রশাসনকে অভিযুক্ত করে বলেন, “তারা এই উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে।”

মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে ট্রাম্প ইরানকে আবারও হুঁশিয়ার করে বলেন, “ইরান যদি নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হয়, তবে আমরা আবারও সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করব। আমি তাদের তেল রফতানি শূন্যে নামিয়ে আনব। সময় কম—তাদের এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

যদিও ট্রাম্পের চলমান সফরে ইসরাইল সফরের কোনো পরিকল্পনা নেই, তবে তার বক্তব্যে স্পষ্ট—মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিতে দ্বিতীয় মেয়াদেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চান।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান গাজা যুদ্ধ এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন উত্তেজনার কারণে সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া বর্তমানে স্থবির হয়ে আছে।

জনপ্রিয়

আ.লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার ঘটনাবলী নিয়ে সচেতন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট

সৌদি-ইসরাইল সম্পর্কের পথে ট্রাম্পের কূটনৈতিক চাপ

প্রকাশিত: ৮ ঘন্টা আগে

সৌদি আরবকে ইসরাইলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি একে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি তার জন্য ‘ব্যক্তিগত সম্মানের বিষয়’ হবে।

মঙ্গলবার রিয়াদে অনুষ্ঠিত সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে ভাষণ দিতে গিয়ে ট্রাম্প সরাসরি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি এই আহ্বান জানান। ওই ফোরামে যুবরাজের পাশে বসা ছিলেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক।

ট্রাম্প বলেন, “আমার দৃঢ় প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা এবং এমনকি স্বপ্ন—সৌদি আরব শিগগিরই আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগ দেবে। এটি আপনার দেশের জন্য এক বিশাল মর্যাদার বিষয় হবে এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডস এর মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। যদিও সৌদি আরব এখনো সেই পথে হাঁটেনি, তবে বিগত কয়েক বছরে গোপন আলোচনার খবর গণমাধ্যমে এসেছে।

আব্রাহাম অ্যাকর্ডসকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর জন্য একটি সফল কূটনৈতিক উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “এই উদ্যোগ ছিল শান্তির জন্য, এবং তা অত্যন্ত সফলভাবে এগোচ্ছিল।” এ সময় তিনি বাইডেন প্রশাসনকে অভিযুক্ত করে বলেন, “তারা এই উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে।”

মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে ট্রাম্প ইরানকে আবারও হুঁশিয়ার করে বলেন, “ইরান যদি নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হয়, তবে আমরা আবারও সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করব। আমি তাদের তেল রফতানি শূন্যে নামিয়ে আনব। সময় কম—তাদের এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

যদিও ট্রাম্পের চলমান সফরে ইসরাইল সফরের কোনো পরিকল্পনা নেই, তবে তার বক্তব্যে স্পষ্ট—মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিতে দ্বিতীয় মেয়াদেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চান।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান গাজা যুদ্ধ এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন উত্তেজনার কারণে সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া বর্তমানে স্থবির হয়ে আছে।