শনিবার ভারতের রাজস্থান সীমান্ত এলাকা থেকে পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)। এটি ভারতের পক্ষে এক প্রতিক্রিয়া, কারণ এর আগে ২৩ এপ্রিল পাকিস্তান রেঞ্জাররা ভুলক্রমে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করা বিএসএফ কনস্টেবল পূর্ণম কুমার সাহুকে আটক করেছিল।
আটক পাকিস্তানি রেঞ্জারের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি, তবে তিনি বর্তমানে বিএসএফের রাজস্থান ইউনিটের হেফাজতে রয়েছেন। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অনিচ্ছাকৃত সীমান্ত অতিক্রমের ক্ষেত্রে সাধারণত এক প্রক্রিয়া রয়েছে, যেখানে একে অপরকে বিনিময় করা হয়। তবে বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এবং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো সদর্থক পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে, সাহুকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে এখনও কোনো সমঝোতা হয়নি।
এদিকে, ৩ মে থেকে ৪ মে রাত পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানি সেনারা গোলাগুলি চালিয়েছে। এটি সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় সীমান্ত সংঘর্ষ বলে মনে করা হচ্ছে, যদিও কোনো মৃত্যুর খবর এখনও পাওয়া যায়নি। বিএসএফ জানিয়েছে, কনস্টেবল সাহুর মুক্তির জন্য একাধিক বৈঠক হলেও পাকিস্তান এখনও কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা জানায়নি।
এ ছাড়া, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়েছে। ভারত পাকিস্তানকে একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা, কূটনীতিক প্রত্যাহার, ও পাকিস্তানি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তান তার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, যা ভারতীয় কর্মকর্তাদের মতে স্পষ্ট ‘উসকানি’। পাকিস্তান দাবি করেছে, এটি ‘সিন্ধু মহড়া’র অংশ ছিল।
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরো বাড়ছে, এবং এর প্রভাব সীমান্তের নিরাপত্তা ও দুই দেশের সম্পর্কের ওপর দৃশ্যমান প্রভাব ফেলছে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইসরাইল