ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে গভীর রাতে ৭৫১ জনকে পুশইনের চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তবে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও স্থানীয় জনতার কঠোর প্রতিরোধে এ চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গুজরাট, ত্রিপুরা ও রাজস্থানে আটক রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি নাগরিকদের পুশইনের উদ্দেশ্যে বিএসএফ সীমান্তে জড়ো হয়। খবর পেয়ে সতর্ক অবস্থান নেয় বিজিবি। স্থানীয় লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ সীমান্তে জড়ো হন। ফেসবুক লাইভেও লোকজনকে আহ্বান জানানো হয়, ফলে শত শত মানুষ সীমান্তে উপস্থিত হয় এবং বিএসএফ পিছু হটে।
সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, নলঘরিয়া, মেরাসানী, নোয়াবাদীসহ বিভিন্ন এলাকায় রাতভর উত্তেজনা চললেও শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার বাচ্চু মিয়া জানান, বিজিবির খবর পেয়ে এলাকাবাসীকে সীমান্তে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়, যা কার্যকর হয়। মেম্বার মামুন চৌধুরী জানান, বিএসএফের পুশইন চেষ্টার সময় এলাকায় মাইকিং করে জনগণকে জড়ো করা হয় এবং তাদের প্রতিরোধে বিএসএফ বাধ্য হয় সরে যেতে।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধনা ত্রিপুরা জানান, জনগণের সহযোগিতায় বিজিবি পুশইন চেষ্টা প্রতিহত করেছে এবং এখনও সবাই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাব্বার আহাম্মেদ বলেন, বিএসএফের পুশইনের খবর পেয়ে বিজিবি এবং স্থানীয় জনগণ প্রস্তুত ছিল। তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে এবং সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপচেষ্টা প্রতিহত করা হবে।