ঢাকা , সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
পটুয়াখালী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন আবারও শাস্তির মুখে তাওহিদ হৃদয়, চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ডে সামরিক রাডার স্থাপন করলো সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত আন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জনগণের আস্থা এখনো অটুট: আলজাজিরাকে ড. ইউনূস উখিয়ায় স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালালো স্বামী বাঁশখালীতে অগ্নিকাণ্ডে গোয়ালঘর ও গবাদি পশু পুড়ে ছাই রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে আগামীকাল পুলিশের উপর রিকশাচালকদের হামলায় আরও ৪জন গ্রেপ্তার বাঁশখালীতে এস আলমের হাজার কোটি টাকার জমি জব্দের আদেশ

মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে বাবার মৃত্যু, কিছু না জেনে পরীক্ষার হলে বসে তাসফিয়া

পটুয়াখালীর বাউফলে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে হৃদয়বিদারক এক ঘটনা ঘটেছে। মেয়ে তাসফিয়াকে মোটরসাইকেলে করে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাবা মাহবুবুর রহমান। পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামে। জানা গেছে, ভরিপাশা গ্রামের বাসিন্দা এবং কালিশুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান তার মেয়ে তাসফিয়াকে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। তাসফিয়া এবছর কালিশুরী এসএ ইনস্টিটিউশন কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।

সকাল ৯টার দিকে রওনা হওয়ার পর গাজিমাঝি বাজার এলাকায় পৌঁছালে মাহবুবুর রহমান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং তাসফিয়াকে দ্রুত পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন।

হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুবুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।

কালিশুরী এসএ ইনস্টিটিউশনের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ জানান, “তাসফিয়া এখনো পরীক্ষা দিচ্ছে, এবং সে জানে না তার বাবা আর নেই। তার পরীক্ষার কথা বিবেচনায় রেখেই বিষয়টি এখনো গোপন রাখা হয়েছে।”

মাহবুবুর রহমানের মৃত্যুর খবরে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, তিন মেয়ের মধ্যে তাসফিয়া মেজো। পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাসফিয়াকে বাবার মৃত্যুর খবর জানানো হবে না।

এ বিষয়ে কালিশুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “মাহবুবুর রহমান অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও সজ্জন মানুষ ছিলেন। তার এভাবে চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।”

এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জনপ্রিয়

পটুয়াখালী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে বাবার মৃত্যু, কিছু না জেনে পরীক্ষার হলে বসে তাসফিয়া

প্রকাশিত: ১২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

পটুয়াখালীর বাউফলে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে হৃদয়বিদারক এক ঘটনা ঘটেছে। মেয়ে তাসফিয়াকে মোটরসাইকেলে করে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাবা মাহবুবুর রহমান। পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামে। জানা গেছে, ভরিপাশা গ্রামের বাসিন্দা এবং কালিশুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান তার মেয়ে তাসফিয়াকে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। তাসফিয়া এবছর কালিশুরী এসএ ইনস্টিটিউশন কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।

সকাল ৯টার দিকে রওনা হওয়ার পর গাজিমাঝি বাজার এলাকায় পৌঁছালে মাহবুবুর রহমান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং তাসফিয়াকে দ্রুত পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন।

হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুবুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।

কালিশুরী এসএ ইনস্টিটিউশনের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ জানান, “তাসফিয়া এখনো পরীক্ষা দিচ্ছে, এবং সে জানে না তার বাবা আর নেই। তার পরীক্ষার কথা বিবেচনায় রেখেই বিষয়টি এখনো গোপন রাখা হয়েছে।”

মাহবুবুর রহমানের মৃত্যুর খবরে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, তিন মেয়ের মধ্যে তাসফিয়া মেজো। পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাসফিয়াকে বাবার মৃত্যুর খবর জানানো হবে না।

এ বিষয়ে কালিশুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “মাহবুবুর রহমান অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও সজ্জন মানুষ ছিলেন। তার এভাবে চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।”

এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।