পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে আবারও ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ঘটেছে। এই হামলার ফলে যাত্রীবাহী বাসের কাছে বিস্ফোরণ হয়ে অন্তত সাতজন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৬ মার্চ) নুশকি-দালবান্দিন মহাসড়কে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর ফলে পুরো এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়, এবং নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে।
এখন পর্যন্ত বিস্ফোরণের ধরন বা কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পুলিশ জানায়, আহতদের দ্রুত নুশকি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মীর গুল খান নাসির টিচিং হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এটা ছিল বেলুচিস্তানে গত কয়েকদিনের মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি বড় ধরনের হামলা। ২০২৪ সালে পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলা এবং প্রাণহানির ৯৬ শতাংশ বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশেই ঘটেছে, যা পরিস্থিতির তীব্রতা বাড়িয়ে তুলছে।
এটি ছিল বেলুচিস্তানে একটি নতুন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। এর আগে, ১৩ মার্চ, বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-এর সদস্যরা একটি রেললাইন উড়িয়ে দিয়ে ৪৪০ যাত্রী নিয়ে আসা জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে আক্রমণ করে। ওই ঘটনায় যাত্রীদের জিম্মি করা হয় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দীর্ঘ অভিযানে ৩৩ হামলাকারী নিহত হয়। ওই হামলায় ২৬ জন যাত্রী নিহত হন, তাদের মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও ফ্রন্টিয়ার কোরের সদস্য, রেলওয়ে কর্মকর্তাসহ সাধারণ নাগরিকও ছিলেন।
এ ছাড়া, ট্রেন হামলার আগে একটি পিকেটে হামলা চালিয়ে আরও তিনজন ফ্রন্টিয়ার কোর সদস্যকে হত্যা করা হয়। এতে স্পষ্ট হয়ে যায় যে বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার হার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে এবং দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে।
এদিকে, পাকিস্তানের সরকারের পক্ষে কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে সন্ত্রাসী হামলা এবং সহিংসতা এখনও বন্ধ হয়নি, যা দেশটির সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতি দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তানের সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনী যে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য তৎপর, তা সত্ত্বেও এটি স্পষ্ট যে দেশের বিদ্যমান সন্ত্রাসী চ্যালেঞ্জে অনেক বড় পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে। তথ্যসূত্র :জিও নিউজ