আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে ব্রিটিশ সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এসএম ফরহাদ।
তার দেওয়া স্ট্যাটাসে দাবি করা হয়েছে, ব্রিটিশ সুপ্রিমকোর্ট শাহবাগে দেওয়া রায়কে ‘ভুয়া বিচার’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, শাহবাগের আদালতের রায় গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা ‘ভুয়া আইনের’ ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে।
স্ট্যাটাসে আরও বলা হয়, Alliance for Witness Transparency (AWT) বিভিন্ন ভুক্তভোগীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে, যারা দাবি করেছেন, নিজামী ও সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে তাদের বাধ্য করা হয়েছিল। এসব সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই ফাঁসি কার্যকর করা হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এছাড়া সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার স্বীকারোক্তির প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়, তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে মামলাগুলো ভুয়া ছিল। ফরহাদ তার স্ট্যাটাসে দাবী করেন, যদি কারও বিরুদ্ধে সত্যিকারের যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ থাকে, তবে নিরপেক্ষ বিচার করা উচিত। তবে প্রথমেই স্বীকার করতে হবে যে, অনেক নিরপরাধ মানুষকে ভুয়া মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারের বিরোধিতা শুধু জামায়াতে ইসলামই করেনি, বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও করেছেন। তিনি দাবি করেন, একাত্তরের দায় টিক্কা-ভুট্টো চক্র বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্দিদের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল এবং ছাত্র-জনতা এর বিরুদ্ধে জীবন দিয়ে প্রতিবাদ করেছে।
স্ট্যাটাসের শেষাংশে শহীদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে স্মরণ করা হয় এবং উল্লেখ করা হয় যে, শাহবাগ আন্দোলন গণহত্যা, গুম, নির্যাতন এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়নের মূল কেন্দ্র ছিল। তিনি দাবি করেন, ২৮ ফেব্রুয়ারির সাঈদীর ফাঁসি পরবর্তী ঘটনা, শাপলা চত্বরের ঘটনা, মোদিবিরোধী আন্দোলন দমন, আবরার ফাহাদ হত্যা এবং গণতন্ত্র হত্যার পেছনে শাহবাগ আন্দোলন ভূমিকা রেখেছে।
এসএম ফরহাদ তার স্ট্যাটাসে জানান, যুদ্ধাপরাধের বিচার অবশ্যই হতে হবে, তবে নিরপরাধ মানুষকে হত্যার বিচারও হওয়া উচিত।