ঢাকা ০৭:২৯:৫৪ পিএম, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কর্ণফুলীতে শিশু আরিফার অকাল মৃত্যু, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড? তদন্তে পুলিশ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর জামতলা এলাকায় ছয়মাস বয়সী শিশু আরিফার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২ মার্চ) বিকেলে এই ঘটনা ঘটলেও সন্ধ্যার পর থেকে এটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

 

শিশু আরিফা স্থানীয় বাসিন্দা মো. নুর হোসেনের মেয়ে। নুর হোসেন একজন প্রতিবন্ধী বলে জানা গেছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

 

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘খবর পাওয়া মাত্রই আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগ শুনেছি এবং শিশুর লাশ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি। এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’ তবে শিশুটির পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

 

নিহতের পরিবারের অভিযোগ :

শিশু আরিফার পরিবারের দাবি, বিকেলে শিশুদের মধ্যে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার রানা, ইকবাল ও ইসমাইল নামের তিনজন একাধিক শিশুকে মারধর করেন। তারা মনে করছেন, এই মারধরের জেরেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তবে এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করার মতো কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।

 

একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে, বিকেলে স্থানীয় কয়েকজন শিশু পাশের খালের ওপারে গিয়ে বসে সিগারেট টানছিল। এ সময় রানা ও ইকবাল দেখে তাদের বকাঝকা করে এবং গাছের ঝুঁপড়ি দিয়ে মারধর করে তাঁড়িয়ে দেন। পরে মারধরের শিকার শিশুরা বাড়িতে ফিরে গেলে তাঁদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা কারণ জানতে চান। তখন তারা রানা ও ইকবালের নাম উল্লেখ করে। এরপর উভয় পরিবারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

 

কিন্তু এ ঘটনার প্রায় দুই তিন ঘণ্টা পর হঠাৎ খবর আসে, নুর হোসেনের মেয়ে আরিফা মারা গেছে। এরপর স্থানীয়দের মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে রানা ও ইকবালের মারধরের কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

ময়নাতদন্তের অপেক্ষায় পুলিশ :

পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। এখনো লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে এবং নিহতের পরিবার আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় অবস্থান করছে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

জনপ্রিয়

কর্ণফুলীতে শিশু আরিফার অকাল মৃত্যু, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড? তদন্তে পুলিশ

প্রকাশিত: ০৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর জামতলা এলাকায় ছয়মাস বয়সী শিশু আরিফার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২ মার্চ) বিকেলে এই ঘটনা ঘটলেও সন্ধ্যার পর থেকে এটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

 

শিশু আরিফা স্থানীয় বাসিন্দা মো. নুর হোসেনের মেয়ে। নুর হোসেন একজন প্রতিবন্ধী বলে জানা গেছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

 

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘খবর পাওয়া মাত্রই আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগ শুনেছি এবং শিশুর লাশ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি। এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’ তবে শিশুটির পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

 

নিহতের পরিবারের অভিযোগ :

শিশু আরিফার পরিবারের দাবি, বিকেলে শিশুদের মধ্যে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার রানা, ইকবাল ও ইসমাইল নামের তিনজন একাধিক শিশুকে মারধর করেন। তারা মনে করছেন, এই মারধরের জেরেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তবে এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করার মতো কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।

 

একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে, বিকেলে স্থানীয় কয়েকজন শিশু পাশের খালের ওপারে গিয়ে বসে সিগারেট টানছিল। এ সময় রানা ও ইকবাল দেখে তাদের বকাঝকা করে এবং গাছের ঝুঁপড়ি দিয়ে মারধর করে তাঁড়িয়ে দেন। পরে মারধরের শিকার শিশুরা বাড়িতে ফিরে গেলে তাঁদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা কারণ জানতে চান। তখন তারা রানা ও ইকবালের নাম উল্লেখ করে। এরপর উভয় পরিবারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

 

কিন্তু এ ঘটনার প্রায় দুই তিন ঘণ্টা পর হঠাৎ খবর আসে, নুর হোসেনের মেয়ে আরিফা মারা গেছে। এরপর স্থানীয়দের মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে রানা ও ইকবালের মারধরের কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

ময়নাতদন্তের অপেক্ষায় পুলিশ :

পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। এখনো লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে এবং নিহতের পরিবার আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় অবস্থান করছে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।