পবিত্র রমজান মাস মুমিনদের জন্য একটি বিশেষ মাস, যা ঈমান ও আমলের তরবিয়ত, খায়ের ও বরকতের মাস হিসেবে পরিচিত। এই মাসে আল্লাহপাক উম্মতকে অসংখ্য রহমত ও বরকত প্রদান করেন। রমজান শুধু পাপ মোচনের মাস নয়, বরং এটি ঝগড়া-বিরোধ এবং অশ্লীলতা থেকে বাঁচার, তাকওয়া অর্জনের, নেকি বাড়ানোর এবং কুরআনের হক আদায়ের সময়।
সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘রমজান মাসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করা হয় এবং খবিস শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।’ রমজান মাসে আল্লাহপাক উম্মতকে এমন পাঁচটি বিশেষ উপহার প্রদান করেন, যা অন্য কোনো উম্মতকে দেওয়া হয়নি।
হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র রমজান মাসের পাঁচটি বিশেষ দানের বিবরণ দিয়েছেন:
১. রোজাদারের মুখের গন্ধ: রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশক আম্বরের চেয়েও প্রিয়।
২. ইফতারের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সাগরের মাছের দোয়া: রোজাদারের জন্য ইফতারি পর্যন্ত সাগরের মাছগুলো মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে।
৩. জান্নাতের সজ্জা: প্রতিদিন আল্লাহপাক জান্নাতকে নতুন করে সাজাতে থাকেন এবং জান্নাতকে বলেন, ‘আমার নেক বান্দাগণ শীঘ্রই তোমার কাছে আসছে।’
৪. শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করা: রমজান মাসে বড়ো বড় শয়তানদের বেঁধে রাখা হয়, ফলে তারা পাপ করাতে সক্ষম হয় না।
৫. গুনাহ মাফ: রমজানের শেষ রাতে রোজাদারের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
সাহাবায়ে কেরাম জানতে চাইলেন, “এই ক্ষমা কি শবে ক্বদরের সময় ঘটে?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিলেন, “না! বরং নিয়ম হলো মজদুর কাজ শেষ করার পরই মজদুরী পেয়ে থাকে।” (আত তারগিব ওয়াত তারহিব: ২/৯১)
এভাবে, রমজান মাস মুসলমানদের জন্য এক আশীর্বাদ, যেখানে আল্লাহপাক তার বান্দাদের মাগফিরাত, রহমত ও বারাকত প্রদান করেন।