জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম বলেছেন, বাংলাদেশের সব সম্পদশালী যদি যাকাত দেন, তাহলে আগামী পাঁচ বছরে দেশে একজনও দরিদ্র থাকবে না। তিনি বলেন, সম্পদের পরিপূর্ণ সুফল পেতে হলে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু যাকাত দেওয়া কিন্তু ইসলামের অন্যান্য মৌলিক বিধান পালন না করলে সমাজের সমস্যার সমাধান হবে না এবং ব্যক্তিরও মুক্তি আসবে না। একটি সৎ ও মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে হলে কুরআন-সুন্নাহর দিকে ফিরে আসতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট হলে মহানগর জামায়াত আয়োজিত ‘বাংলাদেশে যাকাত-ওশর আদায় ও বণ্টনঃ অব্যবস্থাপনা ও কার্যকর কর্মপন্থা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাওলানা এটিএম মাসুম বলেন, মানুষের তৈরি আইন-কানুনের কারণে সমাজে বৈষম্য, জুলুম ও শোষণ সৃষ্টি হয়েছে। এসব থেকে মুক্তি পেতে হলে ইসলামের যাকাত ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। যাকাত ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা ভারসাম্যপূর্ণ অর্থব্যবস্থা নিশ্চিত করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ধনীরা যদি সঠিকভাবে যাকাত দেন, তাহলে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর হয়ে যাবে এবং সবাই যাকাতদাতা হয়ে উঠবে। তবে বর্তমানে গণতান্ত্রিক পুঁজিবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তাধারার প্রভাবে যাকাত ব্যবস্থা উপেক্ষিত হচ্ছে, যা সমাজে শোষণ ও বঞ্চনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। যাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা চালু না হলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
মহানগর জামায়াতের আমির আলহাজ শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. আহমদ আলী। সেমিনারে প্রবন্ধের ওপর বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আবু বকর রফিক আহমদ, আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমির ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।