ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

রাশিয়া, সৌদি আরব ও মরক্কো থেকে ৬৩৪ কোটি টাকার সার আমদানির অনুমোদন

বাংলাদেশ সরকার ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য এক লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এই সারের মধ্যে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার, ৩০ হাজার টন এমওপি সার এবং ৩০ হাজার টন ডিএপি সার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই সার আমদানির জন্য মোট ব্যয় হবে ৬৩৪ কোটি ৩২ লাখ ১২ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের কৃষি পুষ্টি কোম্পানি (সাবিক) থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি ৮৮ লাখ ১২ হাজার টাকা, এবং প্রতি টন সারের দাম হবে ৩৪৯.৬৭ মার্কিন ডলার।

এছাড়া, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, এবং প্রতি টন সারের দাম হবে ৩৪৩.২৫ মার্কিন ডলার।

রাশিয়ার প্রোডিন্টরগ এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা, এবং প্রতি টন সারের দাম হবে ৪৮৯.৭৫ মার্কিন ডলার।

মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপসের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এই আমদানিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, এবং প্রতি টন সারের দাম হবে ৫৮৪.৫০ মার্কিন ডলার।

এবারের সার আমদানির অনুমোদন বাংলাদেশের কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং সার সরবরাহের ক্ষেত্রে সামগ্রিক স্থিতিশীলতা আনবে, যা দেশের কৃষকদের জন্য সহায়ক হবে।

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

রাশিয়া, সৌদি আরব ও মরক্কো থেকে ৬৩৪ কোটি টাকার সার আমদানির অনুমোদন

প্রকাশিত: ১০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ সরকার ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য এক লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এই সারের মধ্যে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার, ৩০ হাজার টন এমওপি সার এবং ৩০ হাজার টন ডিএপি সার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই সার আমদানির জন্য মোট ব্যয় হবে ৬৩৪ কোটি ৩২ লাখ ১২ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের কৃষি পুষ্টি কোম্পানি (সাবিক) থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি ৮৮ লাখ ১২ হাজার টাকা, এবং প্রতি টন সারের দাম হবে ৩৪৯.৬৭ মার্কিন ডলার।

এছাড়া, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, এবং প্রতি টন সারের দাম হবে ৩৪৩.২৫ মার্কিন ডলার।

রাশিয়ার প্রোডিন্টরগ এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা, এবং প্রতি টন সারের দাম হবে ৪৮৯.৭৫ মার্কিন ডলার।

মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপসের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এই আমদানিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, এবং প্রতি টন সারের দাম হবে ৫৮৪.৫০ মার্কিন ডলার।

এবারের সার আমদানির অনুমোদন বাংলাদেশের কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং সার সরবরাহের ক্ষেত্রে সামগ্রিক স্থিতিশীলতা আনবে, যা দেশের কৃষকদের জন্য সহায়ক হবে।