ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী হাতিরঝিলে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত যুবদলকর্মী, অবস্থা আশংকাজনক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডা. সুমিত সাহা গ্রেফতার রবার্ট এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার নথি প্রকাশ এপ্রিলের রাতের আকাশে দুর্লভ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক চমক কিশোরগঞ্জে ভেজাল খাদ্য তৈরির দায়ে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে পুকুর থেকে ৩২৬ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার গণ-অভ্যুত্থানের পর সমঝোতার সংস্কার দরকার: এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভিসির প্রতীকী চেয়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ কুয়েট শিক্ষার্থীদের আবাসিকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে প্রতারণা: সতর্ক করলো তিতাস গ্যাস

উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত, শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ভিড়

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি, বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ধানমন্ডি ৭ নম্বর বায়তুল আমান মসজিদে জামে মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন। আজ শনিবার বেলা ১১টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার বিকেল ৩টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ৮৫ বছর বয়সে মারা যান এ এফ হাসান আরিফ। তাঁর মৃত্যুতে দেশের বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।

এ এফ হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা শহরের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে শিক্ষা জীবন শুরু করে পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আইন পেশায় যোগদান করেন এবং পরে ঢাকায় আসেন।

এ এফ হাসান আরিফ ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমি, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উপদেষ্টা পদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

এছাড়া, তিনি একাধিক আন্তর্জাতিক আইনজীবী সংস্থায় কাজ করেছেন এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শদাতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর কর্মজীবন ছিল বহু বছরব্যাপী এবং তিনি দেশের আইন-ব্যবস্থায় তাঁর গভীর অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।

এএফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে দেশের আইনজীবী সমাজসহ বিভিন্ন সেক্টরে গভীর শোক নেমে এসেছে। তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে আজীবন স্মরণ রাখা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন মহলের নেতারা।

জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে চলন্ত অটোরিকশায় মুখোশধারীদের পেট্রলবোমা হামলা, দগ্ধ ২ নারী

উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত, শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ভিড়

প্রকাশিত: ০৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি, বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ধানমন্ডি ৭ নম্বর বায়তুল আমান মসজিদে জামে মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন। আজ শনিবার বেলা ১১টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার বিকেল ৩টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ৮৫ বছর বয়সে মারা যান এ এফ হাসান আরিফ। তাঁর মৃত্যুতে দেশের বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।

এ এফ হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা শহরের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে শিক্ষা জীবন শুরু করে পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আইন পেশায় যোগদান করেন এবং পরে ঢাকায় আসেন।

এ এফ হাসান আরিফ ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমি, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উপদেষ্টা পদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

এছাড়া, তিনি একাধিক আন্তর্জাতিক আইনজীবী সংস্থায় কাজ করেছেন এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শদাতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর কর্মজীবন ছিল বহু বছরব্যাপী এবং তিনি দেশের আইন-ব্যবস্থায় তাঁর গভীর অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।

এএফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে দেশের আইনজীবী সমাজসহ বিভিন্ন সেক্টরে গভীর শোক নেমে এসেছে। তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে আজীবন স্মরণ রাখা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন মহলের নেতারা।