বাংলাদেশ নয়, শান্তি রক্ষা বাহিনী দরকার ভারতে। এই মর্মে নিজ ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপে সেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিও জানান তিনি। সোমবার (২ ডিসেম্বর) কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধিবেশনের সময় এ দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
মমতা আরও বলেন, ভারত সরকার জাতিসংঘের কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরতে পারে যাতে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানো হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ বক্তব্যের প্রতিবাদে সারাদেশে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, যদি ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হাইকমিশনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা চাইতে পারে।
সেক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য সহায়তা বাড়িয়ে সহযোগিতা করতে পারে বাংলাদেশ।”
শুধু আসিফ মাহমুদই নন। মমতার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ তথা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের আমির ডা. শফিক রেহমানসহ প্রমুখ।
এছাড়াও সারাদেশে ছাত্রজনতা ভারতে বাংলাদেশ উপকমিশনের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।