ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাস ঈসা বন্দরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, আহত ১৭১ দিলীপ ঘোষের বিয়ে ঘিরে প্রশ্ন: আরএসএস প্রচারকেরা কি বিয়ে করতে পারেন? সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে শিশুর লাশ উদ্ধার টাঙ্গাইলে অবৈধ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু শায়েস্তাগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১৫ টি দোকান বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক

কবে মুক্তি পাচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর?

হাইকোর্টের রায়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে খালাস পেয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরও। এবার জনমনে প্রশ্ন উঠেছে কবে মুক্তি পাচ্ছেন বাবর। তার উত্তরও মিলেছে ডিআইজি প্রিজন্সের কথায়।

রোববার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির জানান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পেলেও এখনই কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না। কারণ, আরও কয়েকটি মামলায় সাজাভোগ করছেন তিনি।

মামলাগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আরও ১১টি মামলা রয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে ছয়টিতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি তিনি। আরও পাঁচটি মামলা বিচারাধীন।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমান ও বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রোববার (১ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই মুহূর্তে দেশের বাইরে অবস্থান করলেও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর কারাবন্দি আছেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের কারাগারে।

রোববারের রায় ঘোষণার পর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, বিচারিক আদালতের রায়ে ৪৯ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু বিচারিক আদালতের বিচারটা আইনের ভিত্তিতে হয়নি। কোনো সাক্ষীর সঙ্গে কোনো সাক্ষীর বক্তব্যে মিল নেই। শোনা সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে রায় দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তাকে অবৈধ বলেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে খালাস দিয়েছেন সব আসামিকে।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান জানিয়েছেন, তারা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর দিকে চেয়েছিলাম ন্যায়বিচারের জন্য। আল্লাহ ন্যায়বিচার দিয়েছে, আমাদেরকে দয়া করেছেন। আল্লাহর দরবারে শুকুরিয়া আদায় করছি।’

বাবরের ছেলে লাবিব ইবনে জামান বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। ন্যায়বিচার চেয়েছিলাম, ন্যায়বিচার পেয়েছি। আশা করছি, ইনশা-আল্লাহ আমার বাবাকে ফিরে পাব।’

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়।

জনপ্রিয়

ক্রিমিয়া নিয়ে ছাড়? শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লুমবার্গ

কবে মুক্তি পাচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর?

প্রকাশিত: ০৮:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

হাইকোর্টের রায়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে খালাস পেয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরও। এবার জনমনে প্রশ্ন উঠেছে কবে মুক্তি পাচ্ছেন বাবর। তার উত্তরও মিলেছে ডিআইজি প্রিজন্সের কথায়।

রোববার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির জানান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পেলেও এখনই কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না। কারণ, আরও কয়েকটি মামলায় সাজাভোগ করছেন তিনি।

মামলাগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আরও ১১টি মামলা রয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে ছয়টিতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি তিনি। আরও পাঁচটি মামলা বিচারাধীন।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমান ও বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রোববার (১ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই মুহূর্তে দেশের বাইরে অবস্থান করলেও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর কারাবন্দি আছেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের কারাগারে।

রোববারের রায় ঘোষণার পর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, বিচারিক আদালতের রায়ে ৪৯ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু বিচারিক আদালতের বিচারটা আইনের ভিত্তিতে হয়নি। কোনো সাক্ষীর সঙ্গে কোনো সাক্ষীর বক্তব্যে মিল নেই। শোনা সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে রায় দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তাকে অবৈধ বলেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে খালাস দিয়েছেন সব আসামিকে।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান জানিয়েছেন, তারা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর দিকে চেয়েছিলাম ন্যায়বিচারের জন্য। আল্লাহ ন্যায়বিচার দিয়েছে, আমাদেরকে দয়া করেছেন। আল্লাহর দরবারে শুকুরিয়া আদায় করছি।’

বাবরের ছেলে লাবিব ইবনে জামান বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। ন্যায়বিচার চেয়েছিলাম, ন্যায়বিচার পেয়েছি। আশা করছি, ইনশা-আল্লাহ আমার বাবাকে ফিরে পাব।’

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়।