রাজশাহী থেকে আম কিনে ঢাকায় ফেরার পথে নাটোর সদর উপজেলার বনবেলঘরিয়া এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২০ জুন) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কে রাব্বী পরিবহনের একটি বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জবি শিক্ষার্থীর নাম সাগর হোসেন (২৪)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। নিহত অন্যদের মধ্যে একজন হলেন অটোরিকশার চালক মো. বাবু (৪২), তিনি নাটোর সদর উপজেলার হারিগাছা গ্রামের বাসিন্দা। তবে বাকি দুইজনের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানা ও রাজপাড়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাগরসহ তিনজন রাজশাহীর বানেশ্বরে আম কিনে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নাটোরে যাচ্ছিলেন, সেখান থেকে ট্রেনে ঢাকায় ফেরার পরিকল্পনা ছিল তাদের। পথে বনবেলঘরিয়া এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা রাব্বী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
ঘটনাস্থলেই চালক বাবুর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সাগরসহ বাকি তিনজনকে নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সাগর হাসপাতালে পৌঁছার আগেই মারা যান। পরবর্তীতে আহত দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানেও রাত ১০টার পর তাদের মৃত্যু হয়।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, “বাসটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে দুজনের মৃতদেহ আমাদের হেফাজতে আছে, বাকি দুজনের বিষয়ে রাজপাড়া থানা অবগত।”
রাজপাড়া থানার কর্তব্যরত এএসআই মো. লাবলু চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং পরিচয় নিশ্চিত করার কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন।
সাগরের অকাল মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহপাঠীরা জানান, সাগর ছিলেন সদালাপী ও মেধাবী ছাত্র।
সূত্র: বাসস, থানা পুলিশ।