টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নে যৌতুকের দাবিতে মারধর করে লুলুয়ান মরজান হিরা (১৭) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকে স্বামী পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করছিলেন। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
বুধবার (১৪ মে) ভোর ৪টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রোজারঘোনা এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
নিহতের বোন আফরোজা আক্তার জানান, হ্নীলার মৌলভীবাজারের রোজারঘোনা এলাকার নুর আহমদের ছেলে আব্বাস উদ্দিন (২২)-এর সঙ্গে লুলুয়ান মরজান হিরার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি পরিবারের অজান্তে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন।
বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আব্বাস হিরার কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়া হয়। মঙ্গলবার রাতে আব্বাস হিরাকে মারধর করেন, যার ফলে তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
আফরোজা আরও বলেন, “স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্নভাবে হিরাকে নির্যাতন ও মারধর করে হত্যা করেছে। এখন তারা বলছে হিরা আত্মহত্যা করেছে, যা মিথ্যা প্রচারণা।”
হিরার বোনের স্বামী নুরুল ইসলাম জানান, “মঙ্গলবার গভীর রাতে আব্বাসের বড় ভাই আমাকে ফোন করে জানায়, আমার শ্যালিকা আত্মহত্যা করেছে। এরপর বুধবার ভোরে শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।”
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শ্বশুরবাড়ির একটি কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”