ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আট বছর পর সচল জিকে সেচ প্রকল্পের ৩ নম্বর পাম্প, উপকৃত হবেন চার জেলার কৃষক যশোরে জুলাই আহতদের চেক বিতরণে হট্টগোল, ভুয়া অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ অসীম ও অপু উকিলের জব্দ সম্পত্তি দেখভালে রিসিভার নিয়োগের আদেশ ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকাণ্ডে একদিনের শোক, ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান: শহীদ পরিবারের মানববন্ধন, আওয়ামী সরকারের বিচার দাবি জুনের মধ্যেই আইএমএফের ১.৩ বিলিয়ন ডলার ছাড় হজে নুসুক আইডি কার্ড হারালে কী করবেন? বাংলাদেশে উৎপাদিত শুটকির ৮৭ শতাংশ নিরাপদ, মাত্র ১৩ শতাংশে কীটনাশকের উপস্থিতি মে মাসের দুই শনিবার প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশনা সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বড় পরিবর্তন: এককালীন উত্তোলনের সুযোগ ও ইসলামিক সংস্করণ চালুর পরিকল্পনা

জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উপদেষ্টার ওপর বোতল নিক্ষেপ, আলোচনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায় পানির বোতল ছুঁড়ে মারা হয়েছে। বুধবার (১৪ মে) রাত ১০টার দিকে কাকরাইল মসজিদের পাশে পুলিশি ব্যারিকেডের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই ঘটনা ঘটে। হঠাৎ ছোঁড়া বোতল মাথায় পড়ার পর উপদেষ্টা বক্তব্য শেষ না করেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

 

বক্তব্যের শুরুতে উপদেষ্টা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করার সময় শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে প্রতিবাদ জানায়, এরপরই মাথায় পানির বোতল পড়ে এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

 

পরবর্তীতে যমুনা ভবনের সামনে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মাহফুজ আলম জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিনটি দাবি তুলেছেন—আবাসন সংকট নিরসন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা এবং বাজেটে বরাদ্দ না কমানো। এসব দাবি যৌক্তিক কি না, তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করবে বলে তিনি জানান।

 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা হলেও তারা মিটিংয়ে আসেননি। হঠাৎ করে পুরান ঢাকা থেকে কাকরাইল পর্যন্ত মিছিল আসার বিষয়টি সরকারের জানা ছিল না।

 

উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে এ ধরনের আন্দোলন কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা নাশকতামূলক উদ্দেশ্যে জড়িত, তাদের আলাদা করা উচিত এবং চিহ্নিত করতে হবে।

 

তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ক্ষেত্রে প্রথমে আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে, জোরপ্রয়োগ নয়।

 

শেষে মাহফুজ আলম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছে আজ পরাজিত, যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মর্যাদাহানিকর। তিনি শিক্ষার্থীদের আচরণকে অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন।

জনপ্রিয়

আট বছর পর সচল জিকে সেচ প্রকল্পের ৩ নম্বর পাম্প, উপকৃত হবেন চার জেলার কৃষক

জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উপদেষ্টার ওপর বোতল নিক্ষেপ, আলোচনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি

প্রকাশিত: ৪ ঘন্টা আগে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায় পানির বোতল ছুঁড়ে মারা হয়েছে। বুধবার (১৪ মে) রাত ১০টার দিকে কাকরাইল মসজিদের পাশে পুলিশি ব্যারিকেডের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই ঘটনা ঘটে। হঠাৎ ছোঁড়া বোতল মাথায় পড়ার পর উপদেষ্টা বক্তব্য শেষ না করেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

 

বক্তব্যের শুরুতে উপদেষ্টা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করার সময় শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে প্রতিবাদ জানায়, এরপরই মাথায় পানির বোতল পড়ে এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

 

পরবর্তীতে যমুনা ভবনের সামনে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মাহফুজ আলম জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিনটি দাবি তুলেছেন—আবাসন সংকট নিরসন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা এবং বাজেটে বরাদ্দ না কমানো। এসব দাবি যৌক্তিক কি না, তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করবে বলে তিনি জানান।

 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা হলেও তারা মিটিংয়ে আসেননি। হঠাৎ করে পুরান ঢাকা থেকে কাকরাইল পর্যন্ত মিছিল আসার বিষয়টি সরকারের জানা ছিল না।

 

উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে এ ধরনের আন্দোলন কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা নাশকতামূলক উদ্দেশ্যে জড়িত, তাদের আলাদা করা উচিত এবং চিহ্নিত করতে হবে।

 

তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ক্ষেত্রে প্রথমে আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে, জোরপ্রয়োগ নয়।

 

শেষে মাহফুজ আলম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছে আজ পরাজিত, যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মর্যাদাহানিকর। তিনি শিক্ষার্থীদের আচরণকে অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন।