রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দলটির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে গেল।
এর আগে ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, টেন্ডারবাজি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নের অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি জোরালো হয়। সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির দাবির প্রেক্ষিতে সরকার এই পদক্ষেপ নেয়।
এই সিদ্ধান্ত দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি যুগান্তকারী মোড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।