আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার দিবাগত রাতে শাহবাগ চত্বরে জমায়েত হন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। স্লোগানে মুখরিত চত্বর ঘিরে রাতভর চলে অবস্থান কর্মসূচি। আন্দোলনের প্রধান দাবি, “বাংলাদেশ উইদাউট আওয়ামী লীগ”, যেখানে আওয়ামী লীগকে গণহত্যাকারী দল হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাদের রাজনৈতিক অধিকার অস্বীকার করা হয়।
এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ তিন দফা দাবি উপস্থাপন করেন—আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, নেতাকর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার নিশ্চিত এবং জুলাই ঘোষণা পত্র বাস্তবায়ন। আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখতে জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয় জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও স্বৈরশাসনের চিত্র, যা জনতাকে আরও বিক্ষুব্ধ করে তোলে।
রাতে শাহবাগ থেকে হাসনাত ঘোষণা দেন শনিবার গণজমায়েত এবং লাগাতার ব্লকেড কর্মসূচির। একইসঙ্গে জেলা-উপজেলায়ও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে হুঁশিয়ারি দেন, যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত দ্রুত না আসে, তবে “সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে।”
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন নেতাকর্মীরা, যা শুক্রবার সকালে রূপ নেয় সমাবেশে। পরে শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানীর রাজপথ।