গাইবান্ধার সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসায় এসএসসি (দাখিল) পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনে পরীক্ষার্থীদের সহায়তা এবং দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কেন্দ্র সচিবসহ ২১ শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) গণিত বিষয়ের পরীক্ষার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ আল হাসান কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে এমসিকিউ প্রশ্নে একই সেট কোড ব্যবহার করে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রমাণ পান। পরে উত্তরপত্র যাচাই করে ৪৭ জন পরীক্ষার্থীর এমসিকিউ অংশ পুনরায় নির্ধারিত সেট কোড অনুযায়ী পূরণ করানো হয়।
ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর কেন্দ্র সচিব ও মাদরাসার অধ্যক্ষ শরিফ আবু ইউসুফসহ ২১ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
কেন্দ্র সচিব শরিফ আবু ইউসুফ বলেন, “সব রুমে খবর রাখা সম্ভব হয় না। শিক্ষকদের গাফিলাতির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ আল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “উত্তরপত্র দেখে সন্দেহ হওয়ায় সব কক্ষের খাতা পরীক্ষা করে সত্যতা পাওয়া যায়।”
এ ঘটনায় শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিকতা ও জবাবদিহির বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।