ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় শাহে আলম মুরাদ ও আনিসুর রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির চট্টগ্রামের চকবাজারে নালায় পড়ে ৬ মাসের শিশু নিখোঁজ ১৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা: সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের প্রাচীন ‘জলকেলি’ উৎসব: মিলন, আত্মশুদ্ধি আর মানবিকতার বার্তা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ইমনের মরদেহ উত্তোলন: আদালতের নির্দেশে নতুন তদন্তের সূচনা

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তদন্ত কমিশন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক

বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করতেই হবে—এমন দৃঢ় বক্তব্য দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “কমিশনকে অবশ্যই সফল হতে হবে, এ ঘটনায় জাতি উত্তর খুঁজছে।”

 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে গঠিত কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

 

তদন্ত কমিশনের সদস্যরা জানান, তদন্ত কার্যক্রম জোরেশোরে চলছে এবং জুনের মধ্যেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমান জানান, ১৬ বছর আগের ঘটনা হওয়ায় তথ্য সংগ্রহে কিছু বিলম্ব হচ্ছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকে বিদেশে অবস্থান করছেন, তাঁদের শনাক্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিদেশে থাকা ২৩ জনের মধ্যে ৮ জন সাক্ষাৎকার দিতে সম্মত হয়েছেন।

 

তিনি বলেন, “আমরা খুন ও নির্যাতনের ধরন বিশ্লেষণ করছি। বিডিআরের তৎকালীন ডিজিকে হত্যার পর পরিকল্পিতভাবে বাকিদের হত্যা করা হয়েছে। এটি কোনোভাবে স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয়।”

 

কমিশনের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, “এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পরও একজন কর্মকর্তাও অপসারিত হননি—এটি গোয়েন্দা, সামরিক ও রাজনৈতিক ব্যর্থতার পরিচয়।”

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “পুরো জাতি এই ঘটনার জবাব চায়। এত নিখুঁতভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়াটা নৃশংসতার চূড়ান্ত উদাহরণ। তদন্তে সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া হবে।”

 

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কমিশনের সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান, মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, এম আকবর আলী, মো. শরীফুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ খান চন্দন এবং এ টি কে এম ইকবাল।

জনপ্রিয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তদন্ত কমিশন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক

প্রকাশিত: ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করতেই হবে—এমন দৃঢ় বক্তব্য দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “কমিশনকে অবশ্যই সফল হতে হবে, এ ঘটনায় জাতি উত্তর খুঁজছে।”

 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে গঠিত কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

 

তদন্ত কমিশনের সদস্যরা জানান, তদন্ত কার্যক্রম জোরেশোরে চলছে এবং জুনের মধ্যেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমান জানান, ১৬ বছর আগের ঘটনা হওয়ায় তথ্য সংগ্রহে কিছু বিলম্ব হচ্ছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকে বিদেশে অবস্থান করছেন, তাঁদের শনাক্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিদেশে থাকা ২৩ জনের মধ্যে ৮ জন সাক্ষাৎকার দিতে সম্মত হয়েছেন।

 

তিনি বলেন, “আমরা খুন ও নির্যাতনের ধরন বিশ্লেষণ করছি। বিডিআরের তৎকালীন ডিজিকে হত্যার পর পরিকল্পিতভাবে বাকিদের হত্যা করা হয়েছে। এটি কোনোভাবে স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয়।”

 

কমিশনের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, “এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পরও একজন কর্মকর্তাও অপসারিত হননি—এটি গোয়েন্দা, সামরিক ও রাজনৈতিক ব্যর্থতার পরিচয়।”

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “পুরো জাতি এই ঘটনার জবাব চায়। এত নিখুঁতভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়াটা নৃশংসতার চূড়ান্ত উদাহরণ। তদন্তে সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া হবে।”

 

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কমিশনের সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান, মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, এম আকবর আলী, মো. শরীফুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ খান চন্দন এবং এ টি কে এম ইকবাল।