ভারতের সঙ্গে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা হঠাৎ বাতিল করায় পেট্রাপোল স্থলবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশি চারটি মালবাহী ট্রাক। ট্রাকগুলো গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে তৃতীয় দেশে রপ্তানির উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেও ভারতের নতুন সিদ্ধান্তের কারণে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে না পেরে ঢাকায় ফিরে যেতে হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটে। ফেরত আসা ট্রাকগুলোর নম্বর—যশোর ট ১১-১৮০২, ঢাকা মেট্রো ট ১১-৯২২১, ঢাকা মেট্রো ট ২০-৪৪৬০ এবং ঢাকা মেট্রো ট ২০-১৪৫২। পণ্যগুলো রপ্তানি করছিল ডিএসভি এয়ার অ্যান্ড সি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
২০২০ সালের ২৯ জুন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশ তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানির সুযোগ পাচ্ছিল। কিন্তু ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) ৮ এপ্রিল এই চুক্তি বাতিল করে। এরপর ৯ এপ্রিল ভারতীয় কাস্টমস জানায়, যেসব পণ্যবোঝাই ট্রাক ইতোমধ্যে ভারতে প্রবেশ করেছে, তাদের দ্রুত ভারতীয় ভূখণ্ড ত্যাগ করতে হবে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, “অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনার ভিত্তিতে কাস্টমস বিভাগ ট্রানজিট সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে, ফলে বেনাপোল হয়ে পেট্রাপোলে এসব পণ্য প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হয়েছে।”
বাংলাদেশের বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের কারণে গার্মেন্টস পণ্যবোঝাই চারটি ট্রাক পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে এসেছে।”
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, “ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমস তৃতীয় দেশের পণ্য রপ্তানির অনুমোদন না দেওয়ায় ওই চারটি ট্রাক গতকাল ফেরত পাঠানো হয়েছে।”
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের মাঝে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত কূটনৈতিক আলোচনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।