ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রথমবারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা আগামী সপ্তাহে প্রথমবারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তুরস্ক সফর করবেন। সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার (৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের প্রতি সমর্থন বাড়ানোর জন্য শারা এই সফর করবেন। শারা, যিনি গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসেন, তাঁর নতুন প্রশাসনের নেতৃত্বে একাধিক দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক সফর শেষে শারা সৌদি আরবের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দ্বিতীয় উপসাগরীয় গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করছেন। এই সফরের মাধ্যমে তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমর্থন অর্জন করার চেষ্টা করছেন।

উল্লেখ্য, সিরিয়ার দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটি আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় দেশগুলো দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সিরিয়ার অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতি করার জন্য শারা সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে, সিরিয়ার আরব ও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা চলছে, যা নতুন প্রশাসনের বহির্বিশ্বে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

প্রথমবারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা

প্রকাশিত: ১০:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা আগামী সপ্তাহে প্রথমবারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তুরস্ক সফর করবেন। সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার (৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের প্রতি সমর্থন বাড়ানোর জন্য শারা এই সফর করবেন। শারা, যিনি গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসেন, তাঁর নতুন প্রশাসনের নেতৃত্বে একাধিক দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক সফর শেষে শারা সৌদি আরবের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দ্বিতীয় উপসাগরীয় গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করছেন। এই সফরের মাধ্যমে তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমর্থন অর্জন করার চেষ্টা করছেন।

উল্লেখ্য, সিরিয়ার দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটি আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় দেশগুলো দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সিরিয়ার অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতি করার জন্য শারা সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে, সিরিয়ার আরব ও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা চলছে, যা নতুন প্রশাসনের বহির্বিশ্বে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।