যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘটনাকে “হাইপার ডাইনামিক স্টোরি” (অর্থাৎ দ্রুত পরিবর্তনশীল ও জটিল) হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত স্থগিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
ঢাকার গুলশানে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের বাসভবনে এই নিয়ে বৈঠক হয়।এই বৈঠকের নাম ছিলো ‘ব্রেকফাস্ট অন ট্রেড ব্যারিয়ার্স’। এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন শিল্প উপদেষ্টা মো. আদিলুর রহমান খান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমানসহ অন্যরা।
শুল্ক আরোপের কারণে যেসব দেশ ঝুঁকিতে আছে, তাদের করণীয় ও কৌশল বোঝার চেষ্টা হয়েছে এই বৈঠকে।মার্কিন পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না এলেও, কিছু “দিকনির্দেশনা” পাওয়া গেছে।৯ এপ্রিল থেকে শুল্ক কার্যকর হতে পারে—এই তারিখে স্থগিতাদেশ আসার কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।
তিনি বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে যেটা করা সম্ভব এবং অর্থনীতির জন্য সহায়ক, সেটাই করা হবে। তবে যা বাস্তবসম্মত নয়, তা করা সম্ভব নয়।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থগিতাদেশের সম্ভাবনার যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, তার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই বলেও জানান তিনি।পুরো বিষয়টিকে একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ হিসেবে দেখছেন এবং ডব্লিউটিও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও জানান।
এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশ সরকার এই বৈশ্বিক শুল্ক দ্বন্দ্বের প্রভাব বুঝতে ও মোকাবিলা করতে সক্রিয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থান এবং তা থেকে দ্রুত কোনো নরম সুর আশা না করাই যুক্তিযুক্ত।