মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের খোয়াজপুর-টেকেরহাট গ্রামের আজিজুল হাওলাদারের ছেলে তাজেল হাওলাদারের (১৮) মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিহতের বড় ভাই রাজু হাওলাদার। তাজেল এই হত্যাকাণ্ডের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান, এবং এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৮ মার্চ খোয়াজপুরে প্রতিপক্ষের হামলা থেকে বাঁচতে সাইফুল ও তার ভাই আতাবুর সরদার সরদারবাড়ি জামে মসজিদের ভেতরে আশ্রয় নেন। এরপর হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই ভাইকে মসজিদে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করে। দুই ভাইকে বাঁচাতে গেলে আরও বেশ কয়েকজন আহত হন, তাদের মধ্যে সাইফুলের আরেক ভাই অলিল সরদার, চাচাতো ভাই পলাশ সরদার (১৭), স্ত্রী সেতু আক্তার এবং স্থানীয় তাজেল হাওলাদারসহ ৮ জন গুরুতর আহত হন।
৮ মার্চে ঘটনার পর তাজেলসহ ৩ জনের অবস্থার অবনতি হয় এবং তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঐ দিনই পলাশ সরদার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাজেল হাওলাদার ৮ দিন চিকিৎসার পর ১৫ মার্চ বাড়ি ফিরে আসেন, তবে দুই দিন পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত সাইফুল সরদারের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে ৮০-৯০ জনের বিরুদ্ধে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামি হোসেন সরদারসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা বর্তমানে মাদারীপুর জেলা কারাগারে আছেন।
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি যে তাজেল হাওলাদার ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার লাশ এখনো ঢাকা মেডিকেলেই রয়েছে।”