জিহ্বায় ঘা হওয়াকে অনেকেই সাধারণ সমস্যা বলে মনে করেন। শীতকালে এই রোগটি বেশি দেখা যায়। মূলত ভিটামিনের ঘাটতি, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট খারাপ, কম পানি পান করা, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি কারণে এই সমস্যা হতে পারে। শরীরে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের ঘাটতি দেখা দিলেও জিহ্বায় ঘা হতে পারে। এই অবস্থায় ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের ট্যাবলেট খেলে সমস্যা কিছুটা কমে।
তবে এই সমস্যাকে কোনোভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। দ্রুত পথ্য নেওয়া বা কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করা জরুরি। জিহ্বায় ঘা শুধু জ্বালাপোড়া বা কথা বলতে কষ্ট হওয়ার সমস্যা নয়। এটি মাউথ আলসারের অন্তর্ভুক্ত, যা অনেক সময় ক্যানসারের লক্ষণও হতে পারে। তাই দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগলে সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া কৌশল অবলম্বন করা উচিত।
কিছু কার্যকরী টোটকাঃ
১.হলুদ পানির কুলকুচিঃ
হলুদের গুঁড়া ২ চা চামচ পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে কুলকুচি করুন। এতে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর হবে এবং জিহ্বার ঘায়ের যন্ত্রণাও কমবে।
২.এলাচ ও মধুর মিশ্রণঃ
এলাচের গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে মুখের ঘায়ের স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এতে আরাম পাবেন।
৩.গ্লিসারিন ও ফিটকারিঃ
গ্লিসারিনে ফিটকারি মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি মুখের ঘায়ে লাগান। দিনে কয়েকবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
৪.ঘি ব্যবহারঃ
ঘি দিয়েও জিহ্বার ঘা সারানো যায়। রাতে ঘুমানোর আগে আক্রান্ত স্থানে খাঁটি ঘি লাগালে মুখের ঘা দ্রুত সেরে যায়।
৫. অ্যালোভেরার রসঃ
অ্যালোভেরার রস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং বিভিন্ন প্রদাহ সারাতেও কার্যকর। তাজা অ্যালোভেরার রস লাগালে মুখের ঘা দ্রুত সেরে যায়।
এই সহজ উপায়গুলো অনুসরণ করে জিহ্বার ঘা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।