ঢাকা , সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
পটুয়াখালী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন আবারও শাস্তির মুখে তাওহিদ হৃদয়, চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ডে সামরিক রাডার স্থাপন করলো সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত আন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জনগণের আস্থা এখনো অটুট: আলজাজিরাকে ড. ইউনূস উখিয়ায় স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালালো স্বামী বাঁশখালীতে অগ্নিকাণ্ডে গোয়ালঘর ও গবাদি পশু পুড়ে ছাই রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে আগামীকাল পুলিশের উপর রিকশাচালকদের হামলায় আরও ৪জন গ্রেপ্তার বাঁশখালীতে এস আলমের হাজার কোটি টাকার জমি জব্দের আদেশ

ব্যাংকখেকো নাসা নজরুল

রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংক খাত থেকে নামে-বেনামে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদার। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৫ হাজার কোটি টাকা। বাকি ঋণও খেলাপি হওয়ার পথে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতদিন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঋণখেলাপির বাইরে ছিলেন তিনি। এবার আর শেষ রক্ষা হলো না। এই প্রথমবার তাকে ঋণখেলাপির তালিকায় দেখা যাচ্ছে। তাদের মতে, ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিল। সেটিকে পুঁজি করে ব্যাংক খাতে এসব অপকর্ম করেন নজরুল ইসলাম মজুমদার। তিনি বেসরকারি সব ব্যাংকের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রাপ্ত তথ্যমতে, নাসা গ্রুপ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ২২টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন নজরুল ইসলাম মজুমদার। এর মধ্যে শুধু ইসলামী ব্যাংক থেকেই বের করা হয় ৩ হাজার কোটি টাকা। ইতোমধ্যে এ ঋণের একটি অংশ খেলাপি হয়ে গেছে। এছাড়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে নিয়েছেন প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে মহাখালী শাখা থেকে আফসার রিসোর্টের নামে ৪৮০ কোটি, মেয়ে আনিকার নামে ২১০ কোটি এবং বনানী শাখা থেকে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা নিয়েছেন নজরুল ইসলাম মজুমদার। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পুরো টাকাই শেষ ধাপের (মন্দমান) খেলাপি হয়ে গেছে। এছাড়া গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ২৬৫ কোটি টাকা। এর একটা অংশ বেনামি ঋণ। এ টাকা পুনঃতফশিল করে নিয়মিত দেখাচ্ছে। ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ১ হাজার ৯৬১ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন নজরুল ইসলাম মজুমদার। এসব ঋণ নাসা গ্রুপ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ছয়টি প্রতিষ্ঠানের নামে বের করা হয়।

জনপ্রিয়

পটুয়াখালী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

ব্যাংকখেকো নাসা নজরুল

প্রকাশিত: ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংক খাত থেকে নামে-বেনামে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদার। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৫ হাজার কোটি টাকা। বাকি ঋণও খেলাপি হওয়ার পথে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতদিন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঋণখেলাপির বাইরে ছিলেন তিনি। এবার আর শেষ রক্ষা হলো না। এই প্রথমবার তাকে ঋণখেলাপির তালিকায় দেখা যাচ্ছে। তাদের মতে, ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিল। সেটিকে পুঁজি করে ব্যাংক খাতে এসব অপকর্ম করেন নজরুল ইসলাম মজুমদার। তিনি বেসরকারি সব ব্যাংকের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রাপ্ত তথ্যমতে, নাসা গ্রুপ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ২২টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন নজরুল ইসলাম মজুমদার। এর মধ্যে শুধু ইসলামী ব্যাংক থেকেই বের করা হয় ৩ হাজার কোটি টাকা। ইতোমধ্যে এ ঋণের একটি অংশ খেলাপি হয়ে গেছে। এছাড়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে নিয়েছেন প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে মহাখালী শাখা থেকে আফসার রিসোর্টের নামে ৪৮০ কোটি, মেয়ে আনিকার নামে ২১০ কোটি এবং বনানী শাখা থেকে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা নিয়েছেন নজরুল ইসলাম মজুমদার। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পুরো টাকাই শেষ ধাপের (মন্দমান) খেলাপি হয়ে গেছে। এছাড়া গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ২৬৫ কোটি টাকা। এর একটা অংশ বেনামি ঋণ। এ টাকা পুনঃতফশিল করে নিয়মিত দেখাচ্ছে। ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ১ হাজার ৯৬১ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন নজরুল ইসলাম মজুমদার। এসব ঋণ নাসা গ্রুপ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ছয়টি প্রতিষ্ঠানের নামে বের করা হয়।