ঢাকা , সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
পটুয়াখালী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন আবারও শাস্তির মুখে তাওহিদ হৃদয়, চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ডে সামরিক রাডার স্থাপন করলো সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত আন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জনগণের আস্থা এখনো অটুট: আলজাজিরাকে ড. ইউনূস উখিয়ায় স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালালো স্বামী বাঁশখালীতে অগ্নিকাণ্ডে গোয়ালঘর ও গবাদি পশু পুড়ে ছাই রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে আগামীকাল পুলিশের উপর রিকশাচালকদের হামলায় আরও ৪জন গ্রেপ্তার বাঁশখালীতে এস আলমের হাজার কোটি টাকার জমি জব্দের আদেশ

মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে এলএনজি আমদানির একটি উল্লেখযোগ্য ও বৃহৎ চুক্তি

সরকার মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে বার্ষিক ৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবরাহের জন্য একটি বড় চুক্তি করেছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানাভিত্তিক আর্জেন্ট এলএনজি কোম্পানি। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্জেন্ট এলএনজি লুইজিয়ানায় বার্ষিক ২৫ মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) এলএনজি উৎপাদন সক্ষমতার অবকাঠামো নির্মাণ করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে এই চুক্তিটি একটি বাধ্যবাধকতাহীন চুক্তি হিসাবে স্বাক্ষরিত হয়েছে। যদি লুইজিয়ানায় প্রতিষ্ঠানটির এলএনজির প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়, তবে এর বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি সংস্থা পেট্রোবাংলার কাছে বিক্রি হতে পারে।

এতে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পর চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বড় এলএনজি সরবরাহ চুক্তি। শিল্প বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি নতুন প্রশাসনের জ্বালানিবান্ধব নীতির প্রতিফলন। ক্ষমতা গ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন। এসব পদক্ষেপের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি বিভাগের এমন লাইসেন্স স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করাও অন্তর্ভুক্ত। ফলে সেই দেশগুলোতে সুপার-কোল্ড গ্যাস রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র অনুমতি দেয়, যেসব দেশের সঙ্গে দেশটির মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, এই চুক্তি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্পের নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করবে। এ ছাড়াও এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করবে।

জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজছে। এলএনজির ব্যবহার বাড়ানোর দিকে জোর দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে এলএনজির দাম বেড়ে যায়। এরপর থেকে কয়লা ব্যবহারের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ।

গত বছরের জানুয়ারিতে এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশ ১৫ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় কাতার এনার্জি ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে। চুক্তির আওতায় তারা বাংলাদেশে বছরে ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ টন এলএনজি সরবরাহ করবে। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে এই এলএনজি সরবরাহ শুরু করার কথা রয়েছে।

জনপ্রিয়

পটুয়াখালী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে এলএনজি আমদানির একটি উল্লেখযোগ্য ও বৃহৎ চুক্তি

প্রকাশিত: ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

সরকার মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে বার্ষিক ৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবরাহের জন্য একটি বড় চুক্তি করেছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানাভিত্তিক আর্জেন্ট এলএনজি কোম্পানি। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্জেন্ট এলএনজি লুইজিয়ানায় বার্ষিক ২৫ মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) এলএনজি উৎপাদন সক্ষমতার অবকাঠামো নির্মাণ করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে এই চুক্তিটি একটি বাধ্যবাধকতাহীন চুক্তি হিসাবে স্বাক্ষরিত হয়েছে। যদি লুইজিয়ানায় প্রতিষ্ঠানটির এলএনজির প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়, তবে এর বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি সংস্থা পেট্রোবাংলার কাছে বিক্রি হতে পারে।

এতে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পর চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বড় এলএনজি সরবরাহ চুক্তি। শিল্প বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি নতুন প্রশাসনের জ্বালানিবান্ধব নীতির প্রতিফলন। ক্ষমতা গ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন। এসব পদক্ষেপের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি বিভাগের এমন লাইসেন্স স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করাও অন্তর্ভুক্ত। ফলে সেই দেশগুলোতে সুপার-কোল্ড গ্যাস রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র অনুমতি দেয়, যেসব দেশের সঙ্গে দেশটির মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, এই চুক্তি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্পের নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করবে। এ ছাড়াও এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করবে।

জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজছে। এলএনজির ব্যবহার বাড়ানোর দিকে জোর দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে এলএনজির দাম বেড়ে যায়। এরপর থেকে কয়লা ব্যবহারের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ।

গত বছরের জানুয়ারিতে এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশ ১৫ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় কাতার এনার্জি ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে। চুক্তির আওতায় তারা বাংলাদেশে বছরে ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ টন এলএনজি সরবরাহ করবে। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে এই এলএনজি সরবরাহ শুরু করার কথা রয়েছে।