গতদিনের মুসল্লিদের উপর পুলিশের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে আজ সোমবার (২৫শে নভেম্বর) আবারো প্রথম আলোর সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী মুসল্লিরা। এসময় তারা প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের ভারতীয় আগ্রাসন চালানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ দাবি করে আরো কর্মসূচি চালানোর আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, গতকাল প্রথম আলোর সামনে বিক্ষোভকারী মুসল্লীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকেই, কাউকে কাউকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এমনকি পাঁচজনকে আটকও করা হয়েছে। তবে তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই।
এ ঘটনায় ব্যাপক অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা গেছে ইসলামপন্থীদের মধ্যে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে এধরণের ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন অনেকেই। দেশে ঘটে চলা অন্যান্য কোনো প্রতিবাদ সমাবেশে এ জাতীয় নৃশংসতা দেখা যায়নি। প্রতিবাদকারীদের দাবি, প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার পত্রিকা দুটি শুরু থেকেই দেশে ভারতীয় আগ্রাসন পরিচালনা এবং দেশের স্বার্থ বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত। অতি সত্বর এই পত্রিকাগুলো বন্ধের দাবি জানান তারা।
কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ সারাদেশেই এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল দেখা গেছে। কেউ কেউ পত্রিকা পুড়িয়েও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার (২১ ও ২২ নভেম্বর) প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে একদল বিক্ষোভকারী। বাংলাদেশের জনগণের ব্যানারে বিক্ষোভকারীরা ডেইলি স্টারের সামনে জুমার নামাজও আদায় করে। এসময় তারা প্রথম আলো- ডেইলি স্টারকে প্রথম কালো- দিল্লি স্টার বলে আখ্যায়িত করে বলেন দেশে এ দুটি পত্রিকা ভারতীয় আগ্রাসন ও জ/ গী নাটক সাজিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের হয়রানি করে থাকে। দেশের শত্রু এই দুই পত্রিকা বন্ধ এবং বয়কট করার উদ্দেশ্যেই তাদের এই ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ।