ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
লস অ্যাঞ্জেলেস ‘মুক্ত’ করার ঘোষণা ট্রাম্পের, কারফিউ, বিক্ষোভ অনেক রাজ্যে চামড়ার ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশ সাধারণ মানুষ: মাওলানা রাব্বানী জুলাইয়ের প্রথমার্ধেই এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের সম্ভাবনা নির্বাচিত সরকারের অংশ হতে চান না: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস জাতির নিরাপত্তায় আপাতত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত: প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক চট্টগ্রামে করোনার নতুন ধরনে আক্রান্ত আরও এক যুবক, বাড়ছে উদ্বেগ মিয়ানমারে অপহৃত দুলালকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনল বিজিবি নরসিংদীর রায়পুরায় খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ স্থগিত সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১,১৮০ জন

ট্রাম্পের শুল্কে বাণিজ্য খরচ বাড়বে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর: জাতিসংঘ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন আমদানি শুল্কের ফলে অনেক উন্নয়নশীল দেশের বাণিজ্য খরচ বেশ বাড়বে। এ কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বৈষম্য বাড়ার ঝুঁকিতে পড়বে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলো। এ সময় উন্নয়নশীল দেশের রপ্তানি সম্ভাবনা কমবে পোশাক ও কৃষি খাতে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রায় এক শতাব্দী ধরে অপরিবর্তিত বৈশ্বিক বাণিজ্যব্যবস্থায় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ট্রাম্পের শুল্ক আরোপে বড় ধাক্কার মুখোমুখি হয়েছে। তবে শুল্ক বাস্তবায়নে ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ অর্থনীতির পালে কিছুটা হাওয়া দিলেও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাড প্রকাশিত ‘স্প্যারিং দ্য ভালনারেবল: দ্য কস্ট অব নিউ ট্যারিফ বার্ডেনস’ প্রতিবেদনে এমনটি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের মতো দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশের জন্য দায়ী হলেও রপ্তানি ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে এসব দেশের নতুন শুল্কনীতি। ফলে মার্কিন বাজারে প্রবেশ কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে, পোশাক ও কৃষিপণ্যের মতো খাতগুলোতে রপ্তানি সম্ভাবনা কমবে।

যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির ওপর ১০ শতাংশ হারে সর্বজনীন শুল্ক আরোপ করলেও জুলাইয়ে দেশভিত্তিক অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর হবে। এতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর আমদানি শুল্ক বেড়ে ৪৪ শতাংশ হতে পার, যা দেশগুলোর অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে বলেও প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, ট্যারিফ রিলিফ নীতিমালা ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাজারে প্রবেশে সহজ শর্ত নিশ্চিত করা জরুরি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তা না হলে নতুন ধরনের বৈষম্য তৈরি হতে পারে বিশ্ব বাণিজ্যে, যা দীর্ঘ মেয়াদে বৈশ্বিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার ও দেশটির বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক কমাতে আসন্ন বাজেটে ১০০টি মার্কিন পণ্যে শুল্কছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

জনপ্রিয়

লস অ্যাঞ্জেলেস ‘মুক্ত’ করার ঘোষণা ট্রাম্পের, কারফিউ, বিক্ষোভ অনেক রাজ্যে

ট্রাম্পের শুল্কে বাণিজ্য খরচ বাড়বে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর: জাতিসংঘ

প্রকাশিত: ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন আমদানি শুল্কের ফলে অনেক উন্নয়নশীল দেশের বাণিজ্য খরচ বেশ বাড়বে। এ কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বৈষম্য বাড়ার ঝুঁকিতে পড়বে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলো। এ সময় উন্নয়নশীল দেশের রপ্তানি সম্ভাবনা কমবে পোশাক ও কৃষি খাতে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রায় এক শতাব্দী ধরে অপরিবর্তিত বৈশ্বিক বাণিজ্যব্যবস্থায় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ট্রাম্পের শুল্ক আরোপে বড় ধাক্কার মুখোমুখি হয়েছে। তবে শুল্ক বাস্তবায়নে ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ অর্থনীতির পালে কিছুটা হাওয়া দিলেও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাড প্রকাশিত ‘স্প্যারিং দ্য ভালনারেবল: দ্য কস্ট অব নিউ ট্যারিফ বার্ডেনস’ প্রতিবেদনে এমনটি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের মতো দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশের জন্য দায়ী হলেও রপ্তানি ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে এসব দেশের নতুন শুল্কনীতি। ফলে মার্কিন বাজারে প্রবেশ কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে, পোশাক ও কৃষিপণ্যের মতো খাতগুলোতে রপ্তানি সম্ভাবনা কমবে।

যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির ওপর ১০ শতাংশ হারে সর্বজনীন শুল্ক আরোপ করলেও জুলাইয়ে দেশভিত্তিক অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর হবে। এতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর আমদানি শুল্ক বেড়ে ৪৪ শতাংশ হতে পার, যা দেশগুলোর অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে বলেও প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, ট্যারিফ রিলিফ নীতিমালা ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাজারে প্রবেশে সহজ শর্ত নিশ্চিত করা জরুরি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তা না হলে নতুন ধরনের বৈষম্য তৈরি হতে পারে বিশ্ব বাণিজ্যে, যা দীর্ঘ মেয়াদে বৈশ্বিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার ও দেশটির বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক কমাতে আসন্ন বাজেটে ১০০টি মার্কিন পণ্যে শুল্কছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।