ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে কবরের পাশে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নাহার (২৬) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে খবরটি নিশ্চিত করেন র্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী।
র্যাব জানায়, গতকাল বুধবার ভোরে দিনাজপুর ও ঢাকার দুটি ভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে র্যাব-১৩ এবং র্যাব-৪ এর যৌথ দল ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বাদী দায়েরকৃত এজাহারের বরাতে র্যাব আরও জানায়, ভিকটিম খাইরুন নাহার (২৬) এর সাথে প্রধান আসামি মো. তাজমুল হক (৩৩) এর আনুমানিক আট বছর আগে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। ভিকটিমের কোন সন্তান না হওয়ার কারণে আসামিদের পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন বিভিন্নভাবে প্রধান আসামিকে অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য পরামর্শ দিতেন। যার ফলে আসামি ও ভিকটিমের মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনার জের ধরে গত ২১ এপ্রিল সকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও সনগাঁও গ্রামে প্রধান আসামির বসতবাড়ির ২০০ গজ দক্ষিণে বাঁশঝাড়ের মধ্যে আসামীর পিতার কবরের পাশে ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের অবস্থান নির্ণয় করতে র্যাব-১৩ এর চৌকস অভিযানিক দল ভোরে দিনাজপুর জেলার সদর থানাধীন মোহনপুর রাবার ড্যাম এলাকা থেকে আসামি মো. শফিকুল ইসলাম এবং র্যাব-৪ এর সহযোগিতায় ডিএমপি ঢাকার শাহআলী থানার উত্তর বিশিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোছা. ফরিদা ও মো. ওমের আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানায় র্যাব।