ঢাকা , সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে সন্তুষ্ট এডিবি: অর্থ উপদেষ্টা কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ চলতি বছর ২০০ টন বীজধান উৎপাদনের লক্ষ্য বাকৃবির দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়াল ২৭.৩৫ বিলিয়ন ডলার দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন ১৬ মে থেকে সম্পূর্ণ অনলাইনে হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলায় নিন্দা জামায়াত আমিরের ফেনীতে কিশোরদের অপরাধের অভিযোগে দুই মাকে নাকে খত দিতে বাধ্য, অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সিরাজগঞ্জে দুইজনকে পাঁচ মাস আটকে রাখার ঘটনায় আরাফাতের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় গাজীপুরে আটক ৪ জন হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ

দুলাভাইকে হত্যার দায়ে শ্যালকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে দুলাভাইকে হত্যার দায়ে শ্যালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সারজন মণ্ডল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের আছালত মণ্ডলের ছেলে।

 

রোববার (৪ মে) বিকেল ৩টার দিকে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য এ রায় প্রদান করেন। একইসঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ৫ এপ্রিল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে ইসাহাক আলী মণ্ডলকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার দু’দিন পর, ৭ এপ্রিল নিহত ইসাহাকের বাবা আনজের মণ্ডল হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্ত প্রতিবেদনে ও এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন ইসাহাক বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন বাড়ির পাশের রাস্তার ওপর তার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চরমপন্থী নেতা হানিফের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।

 

মামলার প্রাথমিক পর্যায়ে অজ্ঞাতদের আসামি করা হলেও তদন্ত শেষে ইসাহাকের চাচা শ্বশুর মোকসেদ আলীর ছেলে সারজন আলীকে আসামি করা হয়। এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সারজন আলী জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে চরমপন্থী নেতা হানিফ ও তার সহযোগীদের দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। সারজন ছিলেন ইসাহাকের চাচাতো শ্যালক।

 

দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণের পর, প্রায় দুই যুগ পর আদালত এ চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা করেন।

জনপ্রিয়

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে সন্তুষ্ট এডিবি: অর্থ উপদেষ্টা

দুলাভাইকে হত্যার দায়ে শ্যালকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশিত: ৬ ঘন্টা আগে

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে দুলাভাইকে হত্যার দায়ে শ্যালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সারজন মণ্ডল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের আছালত মণ্ডলের ছেলে।

 

রোববার (৪ মে) বিকেল ৩টার দিকে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য এ রায় প্রদান করেন। একইসঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ৫ এপ্রিল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে ইসাহাক আলী মণ্ডলকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার দু’দিন পর, ৭ এপ্রিল নিহত ইসাহাকের বাবা আনজের মণ্ডল হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্ত প্রতিবেদনে ও এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন ইসাহাক বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন বাড়ির পাশের রাস্তার ওপর তার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চরমপন্থী নেতা হানিফের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।

 

মামলার প্রাথমিক পর্যায়ে অজ্ঞাতদের আসামি করা হলেও তদন্ত শেষে ইসাহাকের চাচা শ্বশুর মোকসেদ আলীর ছেলে সারজন আলীকে আসামি করা হয়। এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সারজন আলী জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে চরমপন্থী নেতা হানিফ ও তার সহযোগীদের দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। সারজন ছিলেন ইসাহাকের চাচাতো শ্যালক।

 

দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণের পর, প্রায় দুই যুগ পর আদালত এ চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা করেন।