যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের শুল্ক যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে বেইজিং পিছু হটবে না। চীন এই বাণিজ্য যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত দেখে ছাড়বে। ব্রাজিলে ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বর্ধিত বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এমনটা বলেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মন্ত্রীর বিবৃতি অনুসারে, বাণিজ্য যুদ্ধের প্রতি চীনের প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট এবং সিদ্ধান্তমূলক: যদি আপনি লড়াইয়ের ওপর জোর দেন, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব, যদি আপনি সংলাপের জন্য প্রস্তুত থাকেন, তবে তা অবশ্যই সম্মান এবং সমতার ওপর ভিত্তি করে হতে হবে। চীন কেবল তার জাতীয় মর্যাদাই নয়, বরং বিশ্বের উজ্জ্বল ভবিষ্যতও রক্ষা করছে।
ওয়াং ই আরও বলেন, ব্রিকস-এর উচিত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল নীতিমালা অনুসরণ করা, বহুমুখী বাণিজ্য ব্যবস্থা রক্ষা করা এবং সম্পর্কের একটি ন্যায্য বৈশ্বিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, মূল প্রশ্নটি হলো – আমরা কি বিশ্বে একমেরু আধিপত্যবাদী শাসনকে মেনে নিই, নাকি আমরা একটি ন্যায়সঙ্গত এবং সুশৃঙ্খল বহুমেরু বিশ্বকে উৎসাহিত করি? এখন যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে তার শুল্কের কাঠি ছড়িয়ে দিচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তারা ‘জঙ্গলে ফিরে যেতে প্রস্তুত কিনা, যেখানে শক্তিশালীরা দুর্বলদের শিকার করে’।
গত ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৮৫টি দেশ এবং অঞ্চলের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তালিকায় রাশিয়ার নাম নেই। ৫ এপ্রিল থেকে ১০% বেসলাইন শুল্ক কার্যকর হয়, যখন ব্যক্তিগতকৃত শুল্ক ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়। ৯ এপ্রিল ট্রাম্প বেশ কয়েকটি দেশ এবং অঞ্চলের জন্য পারস্পরিক ভিত্তিতে আরোপিত অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউস ব্যাখ্যা করে, বিরতিটি বাণিজ্য আলোচনার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই সময়ের মধ্যে ১০% সার্বজনীন শুল্ক কার্যকর থাকবে।
চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক বর্তমানে মোট ১৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং আমেরিকান পণ্যের ওপর শুল্ক ১২৫% পর্যন্ত বাড়িয়েছে।