ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে ব্যাপক গোলাগুলি, সেনা সদস্যসহ ১৭ জন নিহত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর পৃথক তিনটি অভিযানে সশস্ত্র গোষ্ঠীর কমপক্ষে ১৫ সদস্য ও সেনাবাহিনীর ২ সদস্য নিহত হয়েছেন। আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির সামরিক বাহিনীর জনসংযোগ শাখা আইএসপিআর- এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।

ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনসের (আইএসপিআর) জারি করা এক বিবৃতি অনুসারে, ‘সন্ত্রাসীদের’ উপস্থিতির খবর পেয়ে কারাক জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী একটি গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সৈন্যরা কার্যকরভাবে সন্ত্রাসীদের অবস্থান লক্ষ্য করে আক্রমণ করে এবং আটজনকে হত্যা করে।’

উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় পরিচালিত আরেকটি অভিযানে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে চার ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হন। তবে, উভয় পক্ষের তীব্র গুলি বিনিময়ের সময়, দুই সৈন্য- ল্যান্স নায়েক উসমান মোহমান্দ এবং সিপাহী ইমরান খান বীরত্বের সাথে লড়াই করে শহীদ হন বলেও জানানো হয়।

এছাড়া দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের গোমাল জামের সাধারণ এলাকায় আরেকটি সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনী সফলভাবে আরও তিনজন ‘সন্ত্রাসীকে’ সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হন। আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে অসংখ্য হামলা চালিয়েছিল তারা। এদিকে, এসব এলাকায় যাতে আর কোনো সন্ত্রাসী লুকিয়ে থাকতে না পারে সেজন্য এলাকায় স্যানিটাইজেশন অভিযানও পরিচালিত হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

জনপ্রিয়

পাকিস্তানে ব্যাপক গোলাগুলি, সেনা সদস্যসহ ১৭ জন নিহত

প্রকাশিত: ০২:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর পৃথক তিনটি অভিযানে সশস্ত্র গোষ্ঠীর কমপক্ষে ১৫ সদস্য ও সেনাবাহিনীর ২ সদস্য নিহত হয়েছেন। আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির সামরিক বাহিনীর জনসংযোগ শাখা আইএসপিআর- এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।

ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনসের (আইএসপিআর) জারি করা এক বিবৃতি অনুসারে, ‘সন্ত্রাসীদের’ উপস্থিতির খবর পেয়ে কারাক জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী একটি গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সৈন্যরা কার্যকরভাবে সন্ত্রাসীদের অবস্থান লক্ষ্য করে আক্রমণ করে এবং আটজনকে হত্যা করে।’

উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় পরিচালিত আরেকটি অভিযানে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে চার ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হন। তবে, উভয় পক্ষের তীব্র গুলি বিনিময়ের সময়, দুই সৈন্য- ল্যান্স নায়েক উসমান মোহমান্দ এবং সিপাহী ইমরান খান বীরত্বের সাথে লড়াই করে শহীদ হন বলেও জানানো হয়।

এছাড়া দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের গোমাল জামের সাধারণ এলাকায় আরেকটি সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনী সফলভাবে আরও তিনজন ‘সন্ত্রাসীকে’ সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হন। আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে অসংখ্য হামলা চালিয়েছিল তারা। এদিকে, এসব এলাকায় যাতে আর কোনো সন্ত্রাসী লুকিয়ে থাকতে না পারে সেজন্য এলাকায় স্যানিটাইজেশন অভিযানও পরিচালিত হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।