গুম, খুন, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সংঘটিত নৃশংস ঘটনার সুবিচার নিশ্চিত করা এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে রোধ করা অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’–এর ওপর আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে তরুণ ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগের কারণেই অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতেই কোনো বিলম্ব না করে গুম সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশনে রিজার্ভেশন ছাড়া পক্ষরাষ্ট্র হয়েছে— যা দেশের ইতিহাসে প্রথম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে গুমকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে দেখা হলেও এর বাইরে আলাদাভাবে গুমের সংজ্ঞা ও শাস্তি স্পষ্টভাবে নির্ধারিত নয়। এই শূন্যতা দূর করতেই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
গুম তদন্ত কমিশন দিনরাত কাজ করছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা জানান, খুব শিগগিরই কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল প্রসিকিউটোরিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এহসানুল হক সমাজী, ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আলোকচিত্রী ও সমাজকর্মী ড. শহিদুল আলম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শাইখ মাহদী, আইনজীবী শিশির মনির, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সায়রা রহমান খান, এবং মানবাধিকার কর্মী রেজাউর রহমান লেনিনসহ আরও অনেকে।