ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
আট বছর পর সচল জিকে সেচ প্রকল্পের ৩ নম্বর পাম্প, উপকৃত হবেন চার জেলার কৃষক যশোরে জুলাই আহতদের চেক বিতরণে হট্টগোল, ভুয়া অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ অসীম ও অপু উকিলের জব্দ সম্পত্তি দেখভালে রিসিভার নিয়োগের আদেশ ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকাণ্ডে একদিনের শোক, ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান: শহীদ পরিবারের মানববন্ধন, আওয়ামী সরকারের বিচার দাবি জুনের মধ্যেই আইএমএফের ১.৩ বিলিয়ন ডলার ছাড় হজে নুসুক আইডি কার্ড হারালে কী করবেন? বাংলাদেশে উৎপাদিত শুটকির ৮৭ শতাংশ নিরাপদ, মাত্র ১৩ শতাংশে কীটনাশকের উপস্থিতি মে মাসের দুই শনিবার প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশনা সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বড় পরিবর্তন: এককালীন উত্তোলনের সুযোগ ও ইসলামিক সংস্করণ চালুর পরিকল্পনা

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’: ঢাকার সাত কলেজ নিয়ে নতুন উচ্চশিক্ষা উদ্যোগ

রাজধানীর সাতটি ঐতিহ্যবাহী সরকারি কলেজ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’, যা বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত এই কলেজগুলো একত্রিত হয়ে গঠন করবে একটি বহু-আলোকরেখায় বিস্তৃত বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাম্পাসে চালু থাকবে আলাদা অনুষদ ও বিভাগ।

২০১৭ সালে ঢাকার সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়, কোনো পূর্বপ্রস্তুতি বা সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই। উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার মানোন্নয়ন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, এতে সেশনজট, প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা এবং শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বহুগুণে বেড়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক আন্দোলনের মুখে অবশেষে সিদ্ধান্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে একটি স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন।

 

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কাঠামো —

-বিভিন্ন কলেজে থাকবে নির্দিষ্ট অনুষদ ও বিভাগ:যেমন, ঢাকা কলেজে হতে পারে বিজ্ঞান অনুষদ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজে কলা অনুষদ ইত্যাদি।

-আন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন: পূর্ণাঙ্গ কাঠামো গঠনের আগপর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অধীনে চলবে শিক্ষা কার্যক্রম।

-কমবে আসন সংখ্যা: অতিরিক্ত চাপ কমাতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হবে।

 

সমন্বয়কের নেতৃত্বে প্রশাসন,  সাত কলেজের যেকোনো একজন অধ্যক্ষ থাকবেন প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকায়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহায়তা করতে পরীক্ষার নিয়ন্ত্রণ, ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন ও হিসাব সংক্রান্ত দপ্তরের প্রতিনিধিরা থাকবে।শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও শিক্ষাবিদদের পরামর্শ।নেগেটিভ মার্কিং ও আসন সীমাবদ্ধতা চেয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা।অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষক নিয়োগ, আধুনিক ল্যাব ও লাইব্রেরি নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।উচ্চমাধ্যমিক স্তরের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পৃথক করার বিষয়েও চিন্তা চলছে।

 

তিতুমীর কলেজের একাংশ শিক্ষার্থী চান, তারা ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সি‌টির’ অংশ না হয়ে নিজস্ব পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠুক। এ নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

জনপ্রিয়

আট বছর পর সচল জিকে সেচ প্রকল্পের ৩ নম্বর পাম্প, উপকৃত হবেন চার জেলার কৃষক

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’: ঢাকার সাত কলেজ নিয়ে নতুন উচ্চশিক্ষা উদ্যোগ

প্রকাশিত: ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানীর সাতটি ঐতিহ্যবাহী সরকারি কলেজ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’, যা বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত এই কলেজগুলো একত্রিত হয়ে গঠন করবে একটি বহু-আলোকরেখায় বিস্তৃত বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাম্পাসে চালু থাকবে আলাদা অনুষদ ও বিভাগ।

২০১৭ সালে ঢাকার সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়, কোনো পূর্বপ্রস্তুতি বা সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই। উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার মানোন্নয়ন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, এতে সেশনজট, প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা এবং শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বহুগুণে বেড়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক আন্দোলনের মুখে অবশেষে সিদ্ধান্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে একটি স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন।

 

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কাঠামো —

-বিভিন্ন কলেজে থাকবে নির্দিষ্ট অনুষদ ও বিভাগ:যেমন, ঢাকা কলেজে হতে পারে বিজ্ঞান অনুষদ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজে কলা অনুষদ ইত্যাদি।

-আন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন: পূর্ণাঙ্গ কাঠামো গঠনের আগপর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অধীনে চলবে শিক্ষা কার্যক্রম।

-কমবে আসন সংখ্যা: অতিরিক্ত চাপ কমাতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হবে।

 

সমন্বয়কের নেতৃত্বে প্রশাসন,  সাত কলেজের যেকোনো একজন অধ্যক্ষ থাকবেন প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকায়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহায়তা করতে পরীক্ষার নিয়ন্ত্রণ, ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন ও হিসাব সংক্রান্ত দপ্তরের প্রতিনিধিরা থাকবে।শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও শিক্ষাবিদদের পরামর্শ।নেগেটিভ মার্কিং ও আসন সীমাবদ্ধতা চেয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা।অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষক নিয়োগ, আধুনিক ল্যাব ও লাইব্রেরি নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।উচ্চমাধ্যমিক স্তরের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পৃথক করার বিষয়েও চিন্তা চলছে।

 

তিতুমীর কলেজের একাংশ শিক্ষার্থী চান, তারা ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সি‌টির’ অংশ না হয়ে নিজস্ব পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠুক। এ নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।