ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় শাহে আলম মুরাদ ও আনিসুর রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির চট্টগ্রামের চকবাজারে নালায় পড়ে ৬ মাসের শিশু নিখোঁজ ১৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা: সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের প্রাচীন ‘জলকেলি’ উৎসব: মিলন, আত্মশুদ্ধি আর মানবিকতার বার্তা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ইমনের মরদেহ উত্তোলন: আদালতের নির্দেশে নতুন তদন্তের সূচনা

ক্যান্টনমেন্টে গোপন বৈঠক ও “রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ” পুনর্বাসনের অভিযোগ – হাসনাত আব্দুল্লাহর বিস্ফোরক পোস্ট

Oplus_131072

জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক চাঞ্চল্যকর ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে, যার মূল কারিগর ভারত।

 

হাসনাত আব্দুল্লাহর ভাষ্যমতে, ১১ মার্চ দুপুর ২:৩০টায় ক্যান্টনমেন্টে একটি গোপন বৈঠকে তাকে ও আরও দুই নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বৈঠকে সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন ও শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। বলা হয়, আওয়ামী লীগকে পুনরায় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনতে একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং কিছু দল শর্তসাপেক্ষে এই পরিকল্পনায় রাজি হয়েছে।

 

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমাদের কাছে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ শেখ হাসিনাকে অস্বীকার করবে, শেখ পরিবারের অপরাধ স্বীকার করবে এবং বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হবে।”

 

আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন চেষ্টার তীব্র বিরোধিতা

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও তার সঙ্গীরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং জানান, “আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নয়, তাদের বিচার হওয়া উচিত।” তবে জবাবে ক্যান্টনমেন্টের কর্মকর্তারা বলেন, “আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম ব্যাক। ইনক্লুসিভ নির্বাচন আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়।”

 

তিনি আরও দাবি করেন, “যখন আমরা প্রশ্ন তুলি যে, যারা এখনো ক্ষমা চায়নি, অপরাধ স্বীকার করেনি, তাদের কীভাবে ক্ষমা করা যায়—তখন উত্তরে বলা হয়, ‘ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডম এন্ড এক্সপিরিয়েন্স। আমরা ৪০ বছর ধরে এই সার্ভিসে আছি।’”

 

রাজপথে প্রতিরোধের ডাক

এই গোপন বৈঠকের তথ্য প্রকাশ করার পর তার কী পরিণতি হতে পারে, সে বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি লেখেন, “আজকের পোস্টের পর হয়তো আমাকে চাপের মুখে পড়তে হবে, বিপদেও পড়তে পারি। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো আপস নেই।”

 

তিনি সবাইকে আবারও রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারলে জুলাই আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কামব্যাকের আর কোনো সুযোগ নেই—বরং তাদের নিষিদ্ধ করতেই হবে।”

 

হাসনাত আব্দুল্লাহর এই পোস্টের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি এই তথ্য সত্য হয়, তাহলে এটি দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে।

জনপ্রিয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি

ক্যান্টনমেন্টে গোপন বৈঠক ও “রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ” পুনর্বাসনের অভিযোগ – হাসনাত আব্দুল্লাহর বিস্ফোরক পোস্ট

প্রকাশিত: ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক চাঞ্চল্যকর ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে, যার মূল কারিগর ভারত।

 

হাসনাত আব্দুল্লাহর ভাষ্যমতে, ১১ মার্চ দুপুর ২:৩০টায় ক্যান্টনমেন্টে একটি গোপন বৈঠকে তাকে ও আরও দুই নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বৈঠকে সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন ও শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। বলা হয়, আওয়ামী লীগকে পুনরায় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনতে একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং কিছু দল শর্তসাপেক্ষে এই পরিকল্পনায় রাজি হয়েছে।

 

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমাদের কাছে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ শেখ হাসিনাকে অস্বীকার করবে, শেখ পরিবারের অপরাধ স্বীকার করবে এবং বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হবে।”

 

আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন চেষ্টার তীব্র বিরোধিতা

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও তার সঙ্গীরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং জানান, “আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নয়, তাদের বিচার হওয়া উচিত।” তবে জবাবে ক্যান্টনমেন্টের কর্মকর্তারা বলেন, “আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম ব্যাক। ইনক্লুসিভ নির্বাচন আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়।”

 

তিনি আরও দাবি করেন, “যখন আমরা প্রশ্ন তুলি যে, যারা এখনো ক্ষমা চায়নি, অপরাধ স্বীকার করেনি, তাদের কীভাবে ক্ষমা করা যায়—তখন উত্তরে বলা হয়, ‘ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডম এন্ড এক্সপিরিয়েন্স। আমরা ৪০ বছর ধরে এই সার্ভিসে আছি।’”

 

রাজপথে প্রতিরোধের ডাক

এই গোপন বৈঠকের তথ্য প্রকাশ করার পর তার কী পরিণতি হতে পারে, সে বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি লেখেন, “আজকের পোস্টের পর হয়তো আমাকে চাপের মুখে পড়তে হবে, বিপদেও পড়তে পারি। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো আপস নেই।”

 

তিনি সবাইকে আবারও রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারলে জুলাই আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কামব্যাকের আর কোনো সুযোগ নেই—বরং তাদের নিষিদ্ধ করতেই হবে।”

 

হাসনাত আব্দুল্লাহর এই পোস্টের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি এই তথ্য সত্য হয়, তাহলে এটি দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে।